নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট: রাতের নীরবতা ভেঙে সরব হয়ে ওঠে নির্জন চা বাগান। শ্রমিকরা এসেছেন চায়ের পাতা তুলতে, তাই কাজের ব্যস্ততা, আর কোলাহল বাগানজুড়ে। পঞ্চগড়ের চা বাগানগুলোতে এমন দৃশ্য দেখা যায় এখন।
সূর্যের প্রখর তাপ থেকে মুক্তি পেতে পঞ্চগড়ে রাতেই বাগান থেকে চা পাতা সংগ্রহ শুরু করেছেন শ্রমিকরা। দিনের বেলা অন্য কাজ করে বাড়তি আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন তারা। এতে বাগান মালিক ও চা শ্রমিক দু’পক্ষই লাভবান হচ্ছেন।
আগে চা শ্রমিকরা দিনের বেলায় প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চা পাতা কাটতেন। এতে যেমন তাদের কষ্ট বেশি হতো, তেমনি সূর্যের তাপে পাতা শুকিয়ে ওজন কমে যেত। ফলে চা চাষি ও শ্রমিকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতেন। রাতের চা শ্রমিকরা বলছেন, দিনের প্রচণ্ড গরমের জন্য তারা রাতে চা পাতা কাটছেন।
ক্ষুদ্র চা বাগান মালিকরা বলছেন, রাতে চা পাতা কাটায় শ্রমিকরা যেমন দিনের বেলায় বাড়তি কাজের সুযোগ পাচ্ছেন আবার চা বাগান মালিকরাও পাতার ওজন বেশি হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন। এখন রাতে চা পাতা উত্তোলন করে শ্রমিক-বাগান মালিক উভয়েই লাভবান হচ্ছেন বলে দাবি তাদের।
পঞ্চগড় গ্রিন কেয়ার তেঁতুলিয়ার ম্যানেজার মো. মনজুর আলম বলেন, তারা দু’দিক থেকেই লাভবান হচ্ছে। আমি মনে করি পঞ্চগড়ে চা বাগান হওয়ার ফলে এই চা চাষে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।
পঞ্চগড় চা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন বলেন, রাতে একটা আয় পাচ্ছে আবার দিনের বেলায় তারা নিজস্ব বা অন্য কোনো জমিতে কাজ করার কারণে বাড়তি আয়ের সুযোগ পাচ্ছে। পঞ্চগড় জেলার সমতল ভূমিতে ১০ হাজার ১৭০ একর জমিতে চা বাগান রয়েছে। চলতি অর্থ বছরে ১ কোটি কেজি চা উৎপাদিত হবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
সান নিউজ/এমএম