নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামীকাল থেকে নতুন অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে জাতীয় সংসদ। বুধবার (৩০ জুন) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশনে আগামী অর্থবছরের জন্য এই বাজেট কণ্ঠভোটে পাস হয়। এখন অপেক্ষা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের।
রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যকর হবে এ বাজেট। গত ৩ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল জাতীয় সংসদে বাজেটটি পেশ করেছিলেন।
অর্থমন্ত্রীর বাজেট পেশের পর পুরো অধিবেশনজুড়ে এর ওপর আলোচনা করেন সংসদ সদস্যরা। তবে মহামারীর কারণে গতবারের মত এবারও বাজেটের ওপর আলোচনা হয়েছে সীমিত আকারে। দুইদিন আলোচনা করেই চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেট পাস হয়। সপ্তাহখানেক বিরতি দিয়ে টানা চার দিন ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনা চলে। এরপর আরও ১০ দিন বিরতি দিয়ে দুইদিন বাজেটের ওপর আলোচনা হয়। সব মিলিয়ে শতাধিক সংসদ সদস্য এবার বাজেটের উপর আলোচনা করেন। সম্পূরক বাজেটসহ বাজেটের উপর ছয় দিনে ১৫ ঘণ্টার মতো আলোচনা হয়।
এর আগে গত বছর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত বাজেট অধিবেশন হয়েছিল। নয় দিনের ওই বাজেট অধিবেশনে ১৮ জন সংসদ সদস্য ৫ ঘণ্টা ১৮ মিনিট আলোচনা করেছিলেন।
এক নজরে নতুন বাজেট: নতুন অর্থবছরের জন্য যে ব্যয় ধরা হয়েছে, তা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। টাকার ওই অংক বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৫ শতাংশের সমান।
বিদায়ী অর্থবছরে মুস্তফা কামালের দেওয়া বাজেটের আকার ছিল ২০১৯-২০ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি এবং জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশের সমান।
এবারের ৬ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকার বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ১৪ শতাংশ বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। এরই মধ্যে এডিপি অনুমোদন করা হয়েছে।
পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত অনুন্নয়ন বাজেটের চেয়ে প্রায় ১২ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ৬৯ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধেই যাবে, যা মোট অনুন্নয়ন ব্যয়ের প্রায় ১৯ শতাংশের বেশি।
সাননিউজ/এফএআর