নিজস্ব প্রতিবেদক: এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রীতিশ কুমার সরকারের বিদেশযাত্রা আটকে গেছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির নতুন পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা ও কার্যবিবরণী চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রীতিশ কুমারকে বিদেশে না যাওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার (৬ জুন) এফএএস ফাইন্যান্সের নতুন চেয়ারম্যানের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠিতে প্রীতিশ কুমারকে ছুটি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বহুল আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এফএএস ফাইন্যান্স। পি কের ঋণ কেলেঙ্কারির পর বিপদে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত ১ জুন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রতিষ্ঠানটির নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করেছে।
জানা গেছে, গত ৬ মে এফএএস ফাইন্যান্সের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এমডি প্রীতিশ কুমার সরকারকে চলতি মাসের ৭ জুন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত আমেরিকা যাওয়ার ছুটির অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্যক্তিগত কাজে তিনি এই সময়ে আমেরিকায় অবস্থান করবেন বলে পর্ষদকে অবহিত করেন। তখন এফএএস ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান ছিলেন পি কে হালদারের ব্যবসায়িক অংশীদার মো. জাহাঙ্গীর আলম।
কোম্পানিটির উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা সম্মিলিতভাবে সব সময় ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হওয়ায় পুরোনো পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ৩০ এপ্রিলের হিসাবে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে সম্মিলিতভাবে শেয়ার ছিল ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ।
নতুন পর্ষদে যে পাঁচজনকে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়, তাঁরা হলেন এনসিসি ও মেঘনা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন খান, অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে থাকা সেনা কর্মকর্তা আবু সৈয়দ মোহাম্মদ আলী, ঋণমান যাচাইকারী সংস্থা ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (সিআরআইএসএল) উপপ্রধান নির্বাহী সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের ফ্যাকাল্টি মেম্বার মো. সেলিম। এ পাঁচ স্বতন্ত্র পরিচালকের মধ্যে নুরুল আমিনকে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে নতুন পর্ষদ প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব নিয়েছে।