নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রামে গ্যাসের যে সংকট রয়েছে, আগামী দু’একদিনের মধ্যেই তা কমে অনেক ভালো অবস্থায় আসবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপ গেলেন প্রধান বিচারপতি
রোববার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মহেশখালীর এলএনজি এফএসআরইউয়ের কারিগরি ত্রুটির কারণে সরবরাহ না থাকায় শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল থেকেই চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট শুরু হয়। তবে ওইদিন রাত থেকে পাইপলাইনে সরবরাহ শুরু হওয়ার পর থেকে গ্রাহকরা গ্যাস পেতে থাকেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ব্যবসায়ী নিহত
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকে কিন্তু দুপুর ১২টার পর গ্যাসের চাপ বাড়তে থাকে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, শীতের সময় গ্যাসের সংকট এমনিতেও থাকে। দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ গ্রাহক এলপিজি ব্যবহার করেন। বাসা-বাড়িতে চুলায় গ্যাসের সংযোগ খুব অল্প। চুলায় গ্যাস ব্যবহার করে ঢাকা এবং এর আশেপাশের কিছু অংশ, ময়মনসিংহ এবং চট্টগ্রামের কিছু অংশের মানুষ। বিস্তীর্ণ এলাকায় আমরা প্রায় সাড়ে সাত লাখ গ্যাসের অবৈধ লাইন উচ্ছেদ করেছি। তারপরেও আবার নতুন করে অবৈধ লাইন চালু হচ্ছে। এর ফলেই একটা বিরাট এলাকায় গ্যাস প্রাপ্তিতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক শক্তিশালী হচ্ছে
নসরুল হামিদ বিপু জানান, এই মুহূর্তে গ্যাসের ডিমান্ড প্রায় ৩৮০০ এমএমসিএফডি। আমরা এখন সরবরাহ করতে পারি প্রায় ৩২০০ এমএমসিএফডি গ্যাস। এখানে আমাদের শিল্পকারখানা ও বিদ্যুৎ-এর ক্ষেত্রে একটা গ্যাপ থেকে যাচ্ছে। বেশ কিছুদিন আমাদের গ্যাস না থাকায় পাওয়ার প্লান্ট কিছুটা বন্ধ রাখতে হয়েছে। এর কারণেই আমাদের কিছুটা সমস্যা হয়েছে। আশা করছি আজ-কালের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
সান নিউজ/এএন