নিজস্ব প্রতিনিধি: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, সরকার শ্রম অধিকার নিয়ে সচেতন রয়েছে। শ্রম অধিকার গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী নিজের হাতে রেখেছে। শ্রম আইন নিয়ে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল কোনো আপত্তি জানায়নি।
আরও পড়ুন: কারও স্বীকৃতির জন্য সরকার অপেক্ষায় নেই
রোববার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মার্কিন দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি ম্যাথিউ বে ও লেবার অ্যাটাচে লীনা খানের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শ্রমিক অধিকার নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা নিজেদের বক্তব্য দিয়েছেন। আপনারা হয়তো খেয়াল রাখবেন, গত বছর থেকেই এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আইনটিতে কী অগ্রগতি হয়েছে, আরও অগ্রগতি সম্ভব কি না, বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে তাদের সাথে আলোচনা করি।
আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, আপনারা জানেন, রাষ্ট্রপতির কাছে যখন শ্রম আইনটি গিয়েছিল, তখন একটি বিশেষ কারণে সেটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কারণটা আগেও ব্যাখ্যা করেছি, আজকের আলোচনায় সেটি উঠে এসেছে। তবে ড. ইউনুস ও নুন্যতম মজুরি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জ দিয়ে দাবায় রাখতে পারবে না
আইনমন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টস কারখানায় শ্রমিক সংগঠন করার ক্ষেত্রে ১০ ভাগ শ্রমিকের সম্মতির বিধান চায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে আগের চেয়ে কমিয়ে নতুন শ্রম আইনে ১৫ ভাগ শ্রমিকের সম্মতির বিধান যুক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন শ্রম আইনে কোনো গার্মেন্টস বা শিল্প কারখানায় ৩ হাজারের বেশি শ্রমিক থাকলে সেখানে সংগঠন করতে হলে শতকরা ১৫ ভাগ শ্রমিকের সম্মতি প্রয়োজন হবে। যুক্তরাষ্ট্র ১০ ভাগ বললেও এক্ষেত্রে সরকার ধীরে ধীরে ব্যবস্থা নিবে। কারখানা মালিকদের সম্মতিরও প্রয়োজন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, একাদশ সংসদের শেষ অধিবেশনে তড়িঘড়ি করে শ্রম আইনের সংশোধনী বিলটি পাস করা হয়। গত ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল জাতীয় সংসদে তোলা হয়।
আরও পড়ুন: ২/১ দিনের মধ্যে গ্যাসের সংকট কমবে
বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ৩ দিন সময় দিয়ে তা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। গত ২ নভেম্বর বিলটি সংসদে পাস হয়। গত ৮ নভেম্বর বিলে সম্মতির জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা হয়।
বিলটিতে সই না করে গত ২০ নভেম্বর তা সংসদে ফেরত পাঠান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে ২২ নভেম্বর সংসদ সচিবালয় এ-সংক্রান্ত বার্তাসহ একটি বুলেটিন প্রকাশ করে।
রাষ্ট্রপতির বার্তায় বলা হয়, এ বিলের দফা-৪৫ বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে বলে প্রতীয়মান হয়। কাজেই উক্ত দফা পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৮০ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিলটি পুনর্বিবেচনার জন্য সংসদে ফেরত পাঠানো হলো।
সান নিউজ/এনজে