সান নিউজ ডেস্ক : ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও সাফল্যের অন্যতম অংশীদার তারা।
আরও পড়ুন: তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৩ তম জাতীয় সমাবেশ-২০২৩ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।’
এ বাহিনীর সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও সাফল্যের অন্যতম অংশীদার। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পরিবার পরিকল্পনা, জনস্বাস্থ্য, দুর্যোগ মোকাবিলা, পরিবেশ রক্ষা, বৃক্ষরোপণ, নারী ও শিশুপাচার রোধ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অনবদ্য অবদান রাখছে তারা।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল ১২ জন বীর আনসার সদস্য মুজিবনগরের আম্রকাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে এ বাহিনীকে গৌরবান্বিত করেছে।
আরও পড়ুন: পাইপলাইনে তেল আমদানি মার্চ বা এপ্রিলে উদ্বোধন
এ সময় আওয়ামী লীগ সরকার এ বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, নতুন পোশাক প্রবর্তন, পারিবারিক রেশন প্রদান, সাধারণ আনসারের রেশন সামগ্রীর পরিমাণ বৃদ্ধি, সাহসিকতা ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রীয় পদক প্রবর্তন, কর্মকর্তাদের জন্য বিভিন্ন গ্রেডে নতুন পদ সৃজন, টিআইদের পদোন্নতি এবং কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ব্যাটালিয়ন সদস্যদের বৈদেশিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়াও একটি বিশেষায়িত গার্ড ব্যাটালিয়নসহ নতুন আনসার ব্যাটালিয়ন গঠন, সদস্যদের স্থায়ীকরণের মেয়াদ হ্রাস এবং ব্যাটালিয়নের তিনটি পদবির বেতন গ্রেডের ধাপ উন্নীত করা হয়েছে। বাহিনীর অবকাঠামোসহ সবক্ষেত্রে আধুনিকায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে এরই মধ্যে রেঞ্জ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ভবন নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে নিবন্ধন কার্যক্রমে সহযোগিতা ও কোভিড-১৯ বিশেষায়িত হাসপাতালে দায়িত্ব পালনে এ বাহিনীর সদস্যদের সাহসী উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে আরও ৪৫২ মৃত্যু
প্রসঙ্গত, জনসম্পৃক্ত সুশৃঙ্খল বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৮ সালে।
সান নিউজ/এনজে/এসআই