জাতীয়

পিছিয়ে নেই নারী

সান নিউজ ডেস্ক: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন,

কোনকালে একা হয়নিকো জয়ী,
পুরুষের তরবারী, প্রেরণা দিয়েছে,
শক্তি দিয়াছে, বিজয়ালক্ষী নারী....

নারীরা আজ কোন ক্ষেত্রেই পিছিয়ে নেই। আজকের সময়টাই নারীর। একবিংশ শতাব্দীতে নারী শুধু বধূ, মাতা বা কন্যা নয়। পরিবার, সমাজ ও দেশের উন্নয়নে নারীও অংশীদার। নারীর সংস্পর্শে বদলে যাচ্ছে গ্রাম-শহরের কর্ম জীবনধারা। দেশের নারী সমাজ দ্রুত বদলে যাচ্ছে। তারা বদলে দিচ্ছে দেশকেও। ক্ষমতায়ণের দিক থেকে নারীরা সবচেয়ে এগিয়ে গেছে। পুরুষের পাশাপাশি নারী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কারিগর এবং সাফল্যের নিদর্শন।

আরও পড়ুন: নারী-পুরুষের সমতা গড়বে টেকসই ভবিষ্যৎ

বাংলাদেশের নারীদের সামাজিক মর্যাদা আগের তুলনায় বহু গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নারীদের বহু বছর ধরে সংগ্রাম করার বিশাল প্রাপ্তি বলা যায় এটাকে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশি নারীরা সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে। নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, উচ্চতর শিক্ষা, উন্নতর চাকরি এবং তাদের অধিকার রক্ষার্থে আইন প্রণয়ন করতেও দেখা যাচ্ছে। ২০১১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, বাংলাদেশের সংসদের স্পিকার, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সবাই নারী ছিলেন।

বলছি নারীদের অবদানের কথা..

মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদান

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও বিভিন্নভাবে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছে। নারীরা সশস্ত্র যােদ্ধা হিসেবে যুদ্ধ করে মুক্তিযােদ্ধাদের অস্ত্র সংরক্ষণ ও সরবরাহকারী হিসেবে মুক্তিযােদ্ধাদের আশ্রয় দিয়ে, খাবার রান্না করে, অনুপ্রেরণা যুগিয়ে, তথ্য সরবরাহ করে, সেবাদান করে প্রভৃতি উপায়ে ভূমিকা রেখেছে। প্রবাসেও নারীরা মুক্তিযােদ্ধাদের সাহায্যার্থে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। নারীরা সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে, নেতৃত্ব দিয়েছে, গেরিলা তৎপরতা চালিয়েছে, যুদ্ধে আহত হয়েছে এবং অকাতরে প্রাণ দিয়েছে।মুক্তিযুদ্ধে নারীরা সাহস কৃতিত্ব ও বীরত্বের পরিচয় দিয়েছে। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদান ছিল তাৎপর্যপূর্ণ । তাই, মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদান কে খাটো করে দেখার উপায় নেই। মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদান ও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পুরুষের সাথে সাথে নারীরাও যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে।

আরও পড়ুন: ‘জানিয়ে দাও খেলাতে আগ্রহ নেই’

কর্মক্ষেত্রে নারীর অবদান

সংসারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি নারী– এমন উদাহরণ এখন ভুরি ভুরি।

এক সময় নারীদের ঘর থেকে বের হওয়াই কঠিন ছিল। এখন বদলে গেছে চিত্র। পেশাজীবনের নিম্ন থেকে উচ্চ সব পর্যায়ে এখন নারীর পদচারণা। পুরুষের সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে চলেছে নারী। অর্থনীতিতে বাড়ছে নারীর অংশগ্রহণ। বাণিজ্য, উৎপাদন, কর্মক্ষেত্র, শিক্ষা সব ক্ষেত্রে অদম্য নারী।

তবে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ এখনও ব্যাপক আকারে হচ্ছে না। অধিকাংশ নারী অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। প্রাতিষ্ঠানিক খাতের মধ্যে রপ্তানিমুখী ও পোশাক শিল্পে নারীর কাজ করার ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এখানে নারীর কর্মসংস্থান বেড়েছে।

অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে মজুরি বৈষম্য কমেছে। কিন্তু নারীর কর্মক্ষেত্র এখনও নির্দিষ্ট কিছু গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ। কারণ, চাকরি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির কারণে নারীকে বাড়তি প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। নারীরা যথেষ্ঠ প্রশিক্ষণের সুযোগ পান না। ফলে তারা পিছিয়ে পড়েন।

আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ১৭ বছর পর যুবলীগের কমিটি

তবে নারীর এ অংশগ্রহণ বেড়েছে বলে মনে হলেও পুরুষের সঙ্গে সমান তালে কর্মক্ষেত্রে নারী এখনও অবস্থান গড়ে তুলতে পারছে না বলে মনে করেন তিনি। তার মতে, যারা কাজ করছেন, তারাও পিছিয়ে আছেন। উচ্চপদে নারী নেই বললেই চলে। নারীর অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হলেও যথাযথভাবে কাজের সুযোগ তৈরি হয়নি। ফলে বেকারের সংখ্যাও বাড়ছে। গ্রাজুয়েট করা বেকার নারী প্রায় ৪৮ শতাংশ।

তিনি আরও বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে মজুরি বৈষম্য কমেছে। কিন্তু নারীর কর্মক্ষেত্র এখনও নির্দিষ্ট কিছু গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ। কারণ, চাকরি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির কারণে নারীকে বাড়তি প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। নারীরা যথেষ্ঠ প্রশিক্ষণের সুযোগ পান না। ফলে তারা পিছিয়ে পড়েন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও বেসরকারি সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) গবেষণা পরিচালক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে এট ঠিক। কিন্তু সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়, পরিচালক, বড় ধরনের উচ্চপদে নারীর অবস্থান এখনও অনেক কম। কর্মক্ষেত্রে নারীর এ অগ্রগতিকে টেকসই করতে হবে। কর্মপরিবেশ আরও নিরাপদ করতে হবে। এ জন্য বাল্যবিয়ে বন্ধ, উচ্চশিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো জরুরি।

আরও পড়ুন: মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৩৯

বিবিএসের সর্বশেষ ২০১৬-১৭ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ৬ কোটি ৩৫ লাখ। তাদের মধ্যে কাজ করেন ৬ কোটি ৮ লাখ। আর আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের হার ৩৮ শতাংশ।

সংসারের নিয়ন্ত্রক নারী

সংসার কে চালায়! সচরাচর এর উত্তর পুরুষ। কিন্তু সংসারের নারীর নিয়ন্ত্রণ বাড়ছে। কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সংসারের হাল ধরার প্রবণতাও এখন বেশি।

শিক্ষা গ্রহণের পরই একজন নারী কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। পুরুষের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকেও যাচ্ছেন নারীরা। ফলে বিয়ের আগে বা বিয়ের পরেও কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে। সংসারের হাল ধরছেন নারী।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিউলী আক্তার বলেন, স্বামীর একার আয়ে সংসার হয়তো কোনো রকমে চালিয়ে নেয়া যেত। আমি চাকরি করাতে সংসারে স্বচ্ছলতা এসেছে। এ কারণে সংসারে আমাদের গুরুত্ব সমান সমান।

একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত সাজিদা পারভিন বলেন, এমনও হয়েছে করোনার মধ্যে স্বামীর চাকরি চলে গেছে। কিন্তু আমার চাকরি ছিল। তখন সংসারের হাল আমিই ধরেছি। অভাব বুঝতে পারি নাই।

সোনালী ব্যাংকে কর্মরত এলিজা ফেরদৌস বলেন, দুজন চাকরি করছি বলেই করোনার মধ্যে টিকে থাকতে পেরেছি। কারণ আমার স্বামী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি করে। করোনায় তার বেতন কমে যায়। কিন্তু আমিও চাকরি করি দেখে দুই সন্তান নিয়ে এখনও চলতে পারছি।

আরও পড়ুন: নারী বৈষম্য দূর করতে হাইকোর্টের রুল

এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) জরিপ অনুযায়ী দেশের মোট ৪২ লাখ ২০ হাজার পোশাক শ্রমিকের মধ্যে নারীর সংখ্যা ২৪ লাখ ৯৮ হাজার। এই খাতে নিয়োজিত নারী কর্মী দেশের শিল্পখাতে নিয়োজিত মোট নারী কর্মীর ৭০ ভাগ।

জিডিপিতে নারী

মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) নারীর অবদান প্রায় ২০ শতাংশ। ২০২০ সালের এক গবেষণায় এমন তথ্য দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

সংস্থাটি বলছে, সংসারের ভেতর ও বাইরের কাজের মূল্য যোগ করলে নারীর অবদান বেড়ে দাঁড়াবে ৪৮ ভাগ। এর অর্থ হলো, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারী-পুরুষের অবদান সমান সমান।

আরও পড়ুন: গ্যাস বন্ধ করে দিবে রাশিয়া

শ্রম ক্ষেত্রে নারী

শ্রম বাজারে বাড়ছে নারীর অংশগ্রহণ। বিবিএস-এর তথ্য অনুযায়ী, কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের হার ৩৩ দশমিক ৫ ভাগ।

বলা হচ্ছে, ১৯৭৪ সালে সদ্যস্বাধীন দেশে কর্মক্ষেত্রে নারীর অবদান ছিল মাত্র ৪ ভাগ। এই হার ১৯৮০ সালের দিকে হয় ৮ ভাগ। এবং ২০০০ সালে এটি বেড়ে হয় ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ। সেটি ২০১০ সালে বেড়ে হয়েছে ৩৬ ভাগ।

বিবিএসের সর্বশেষ ২০১৬-১৭ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ৬ কোটি ৩৫ লাখ। আর তাদের মধ্যে কাজ করেন ৬ কোটি ৮ লাখ।

এদিকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের হার ৩৮ শতাংশ।

আরও পড়ুন: দক্ষিণখানে নারীসহ তিনজন দগ্ধ

পোশাক শিল্প

বলা যায়, পোশাক খাতের নিয়ন্ত্রক নারী শ্রমিক। দেশের রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশেরও বেশি পোশাক শিল্পখাত থেকে আসে। মোট পোশাক কর্মীর প্রায় ৫৪ শতাংশ নারী।

এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) জরিপ অনুযায়ী দেশের মোট ৪২ লাখ ২০ হাজার পোশাক শ্রমিকের মধ্যে নারীর সংখ্যা ২৪ লাখ ৯৮ হাজার। এই খাতে নিয়োজিত নারী কর্মী দেশের শিল্পখাতে নিয়োজিত মোট নারী কর্মীর ৭০ ভাগ।

কৃষিখাতেও নারীর আধিক্য

কৃষিই অর্থনীতির প্রাণ। সেই কৃষি খাতেও বাড়ছে নারীর সম্পৃক্ততা।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট কর্মক্ষম নারীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নিয়োজিত কৃষিকাজে– ৭১ দশমিক ৫ ভাগ।

বিবিএসের ২০১৮ সালের তথ্য মতে, দেশে কৃষি খাতে নিয়োজিত ৯০ লাখ ১১ হাজার নারী।

আরও পড়ুন: মাদক মামলায় পরীমনির শুনানি আজ

সেবা খাত

সেবা খাতে কর্মরত আছে ৩৭ লাখ নারী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৯ সালের তথ্যে উঠে এসেছে এমন পরিসংখ্যান।

গৃহ ও অভিবাসী শ্রমিক

দেশে গৃহস্থালি কাজের সাথে জড়িত মোট শ্রমিক সংখ্যা ১৩ লাখ। তবে সাধারণ ধারণামতে দেশে বর্তমানে গৃহকর্মে নিয়োজিত আছে ২০ লাখেরও বেশি শ্রমিক। এদের ৮০ শতাংশই নারী এবং শিশু। ২০১৬-২০১৭ সালের শ্রমশক্তি জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯১ সাল থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত শ্রমিক হয়ে কাজের জন্য বিদেশে গেছেন ১ লাখ ৪৫৬ জন নারী।

উচ্চপদে নারী

সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বাড়ছে নারীর অংশগ্রহণ।

আরও পড়ুন: ভারতের সিনেমা পুরুষকেন্দ্রীক

২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ছিল ৪৬০টি। এসব জায়গায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে নারীরা কর্মরত ছিলেন চার ভাগের এক ভাগ।

বর্তমানে জেলা প্রশাসক পদেও দায়িত্ব পালন করছেন অনেক নারী। আর সচিব বা সমমর্যাদার পদে আছেন ১০ জনের বেশি নারী। অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন নারীরা।

দেশের বিচার বিভাগেও নারীদের অবস্থান সংহত হচ্ছে। পুলিশ বাহিনীতে বাড়ছে নারীর আধিক্য। এ সংস্থায় মোট নারী সদস্যের সংখ্যা ১৫ হাজার ১৬৩ জন।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে, দেশে ছোট-বড় মিলিয়ে শিল্পকারখানাগুলোতে ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ১৬২ শ্রমিক কাজ করেন। এদের ৫৬ শতাংশের কিছু বেশি পুরুষ এবং প্রায় ৪৪ শতাংশ নারী।

বড় শিল্পে নারী

বড় আকারের শিল্পকারখানায় পুরুষ শ্রমিকের তুলনায় এখন নারী শ্রমিকের সংখ্যাই বেশি। এ ধরনের কারখানার শ্রমিকদের প্রায় ৫৫ শতাংশ নারী। পাশাপাশি শিল্পকারখানার মোট স্থায়ী শ্রমিকের মধ্যে নারীর হার ৬৩ ভাগ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাম্প্রতিক সার্ভে অব ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ (এসএমআই) জরিপে এ তথ্য উঠে তুলে ধরা হয়েছে।

আরও পড়ুন: মাদারীপুরে চাচার দায়ের কোপে ভাতিজির মৃত্যু

পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে, দেশে ছোট-বড় মিলিয়ে শিল্পকারখানাগুলোতে ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ১৬২ শ্রমিক কাজ করেন। এদের ৫৬ শতাংশের কিছু বেশি পুরুষ এবং প্রায় ৪৪ শতাংশ নারী।

জরিপে দেখা যায়, শিল্পকারখানাগুলোর মধ্যে ৩৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ অতিক্ষুদ্র, ৫০ দশমিক ৫৪ শতাংশ ক্ষুদ্র, ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ মাঝারি এবং ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ বড় আকারের প্রতিষ্ঠান।

সাননিউজ/এমআরএস

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

জামায়াত-এনসিপি অসন্তুষ্ট

শুধু মাত্র একটি দলের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করা...

তারেক- ইউনূসের যৌথ বিবৃতিতে নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হয়েছে- নাখোশ জামায়াত

তারেক- ইউনূসের যৌথ বিবৃতিতে নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করে জামায়াত। লন্...

ড্রয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ শুরু মেসির মায়ামির

নতুন কিছু প্রযুক্তি সংযোজনের মাধ্যমে জমকালো উদ্বোধ...

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়‌কে ১৪ কি‌লো‌মিটার জুড়ে যানজট

পবিত্র ইদুল আযহার ছুটি প্রায় শেষ। তাই সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ একটু বেশি। ঢাকা...

বান্দরবানে পর্যটকের মৃত্যু, ট্যুর এক্সপার্ট গ্রুপের প্রধান গ্রেপ্তার

বান্দরবানের আলীকদমে পর্যটক নিহতের ঘটনায় অনলাইনভিত্তিক ট্রাভেল গ্রুপ ‘ট্...

আর দেরি নয়, তামাক নিয়ন্ত্রণে এখনই পদক্ষেপ দরকার

জনস্বার্থে ন্যায্য ও সময়োপযোগী প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে দেশের ত...

ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী প্রস্তুত থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

ইসি যে সময় ভোটের তারিখ ঘোষণা করবে সে সময়ের জন্য প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী&rs...

হঠাৎ উত্তপ্ত প্রেস ক্লাব, পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

গণজমায়েতের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ে প্রব...

যদি ইসরায়েল থামে তবে আমরাও থামবো: ইরান

ইরান-ইসরায়েল চলমান পাল্টাপাল্টি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছ...

ইসরায়েলের টার্গেট আয়াতুল্লাহ খামেনি: প্রতিবেদন

বিশ্ববাসির নজর এখন ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের দিকে; দুদেশকে নিয়ে চুলচেড়া বিশ্লেশন চ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা