নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কলাবাগান থানার হাতিরপুল এলাকায় মধ্যযুগীয় কায়দায় ফারজানা (১৫) নামে এক গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় ফারজানা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জানা যায়, ওই বাসায় দীর্ঘ সাত বছর ধরে গৃহপরিচারিকার কাজ করে আসছিল ফারজানা। শুরুরদিকে ভালোভাবে কাজ করতে পারলেও গত এক বছর ধরে অমানবিক নির্যাতন শুরু হয়। দিনে দিনে বাড়তে থাকে নির্যাতনের মাত্রা। গত বছর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান গৃহকর্তী লাবলী ইউসুফ। এরপর ফারজানা কাজ করে লাবলীর মেয়ে সুমির বাসায়। সেখানেই ফারজানার ওপর চলতো বর্বর নির্যাতন।
মেয়েকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ দেখে দিশেহারা বাবা মো. বেলাল বলেন, তার মেয়ে সাত বছর ধরে গৃহকর্তী লাবলীর বাসায় কাজ করতো। করোনায় তিনি মারা যাওয়ার পর তার (লাবলী) মেয়ে সুমির কাছে থাকতো। গত এক বছর ধরে সুমি তার মেয়েকে নির্যাতন করতো।
ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা বলেন, কোনো ভুল হলেই মারধর করতো। কয়েকদিন আগে টয়লেটে আটকে রেখে উলঙ্গ করে নির্যাতন করে। তারপর হারপিক খাইয়ে দেয়। কিছু হলেই সুমি ও তার ভাই হিরন নির্যাতন চালাতো।
ফারজানার বাবা বলেন, আমার সাথে দেখা করতে দিত না। দেখা করতে আসলে ভেতরেও ঢুকতে দিত না। শুধু মোবাইলে কথা বলতে দিত। আর মোবাইলে নির্যাতনের কথা না বলার জন্য ভয় দেখাতো। কিন্তু গৃহকর্তী লাবলী যখন ছিল তিনি ফারজানাকে অনেক আদর করতো।
তিনি বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি ফারজানাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে, পা দিয়ে পেটের মধ্যে পাঁচ-ছয়টি লাথি মারে। এর ফলে মেয়েটি খুব অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি করা হয়।
দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক বেলাল জানান, রাজমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। একটি দুর্ঘটনায় তার পা ভেঙ্গে যাওয়ায় তিনি মেয়েকে কাজে দিতে বাধ্য হন। তাদের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জে।
সাননিউজ/এমএসএ
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            