নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে অসংখ্য গণপরিবহন চলাচল করে। কিন্তু অতিরিক্ত ভাড়া বন্ধে চলমান অভিযানের কারণে গত ৩-৪ দিন থেকে রাস্তায় কমে গেছে গণপরিবহন। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন এলাকায় চলাচলকারী যাত্রীরা। গণপরিবহন না পেয়ে অনেকে হেঁটে এবং বিকল্প ব্যবস্থায় নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ শেয়ারে সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, মিরপুর এলাকা থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস রাস্তায় বেশ কম। এসব এলাকার রাস্তার দুপাশে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন শতশত মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এয়ারপোর্ট, উত্তরা, বনানী, গুলশান থেকেও মিরপুরগামী বাস চলাচল কমে গেছে।
মিরপুর ১০ নম্বর থেকে মহাখালী ওয়ারলেস গেট যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্যাংকার আমেনা খাতুন মনি। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো বাস পাননি তিনি। তিনি সাননিউজকে বলেন, গতকাল অল্প হলেও গুলশান যাওয়ার বাস পেয়েছি। অথচ আজ প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পরও বাস পেলাম না। শুনেছি, বিআরটিএ'র মোবাইল কোর্টের অভিযানের খবর পেয়ে গুলশানগামী বাস কমে গেছে। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের এমন হয়রানিমূলক আচরণ বন্ধে সরকারকে আরও কঠোর হওয়া দরকার।
যাত্রীদেরকে এভাবে জিম্মি করা, বেশি ভাড়া নেওয়াসহ নানাবিধ হয়রানির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলেন ডেকেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংবাদ সম্মেলন ঢাকা প্রসঙ্গে সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ন্দোলনের ফলে সরকার বাধ্য হয়ে বাসভাড়া বাড়িয়েছে। অথচ নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও বেশি ভাড়া নিচ্ছেন তারা। এর পাশাপাশি যাত্রী হয়রানিতো আছেই। এসব বিষয় নিয়ে আগামীকাল সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
উল্লেখ্য, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার অজুহাতে বাস মালিকদের ধর্মঘটের কারণে গত ৭ নভেম্বর বাস ভাড়া বাড়িয়েছে বিআরটিএ। অথচ বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি আদায় করছিল পরিবহন শ্রমিকরা। গ্যাসের দাম না বাড়া সত্বেও রাস্তায় চলাচলকারী তেলের গাড়ির পাশাপাশি সব ধরণের বাসেই ভাড়া বাড়িয়েছে। মরার উপর খাঁড়ার ঘা হিসাবে সিটিং সার্ভিস এবং গেটলকের নামে যাত্রীদের হয়রানি মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় ঐক্যবদ্ধভাবে বাস মালিক ও শ্রমিকরা। এরকম পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন ধরে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আসছিল বিআরটিএ। তারই ধারাবাহিকতায় আজও (বুধবার) আটটি মোবাইল কোর্ট মাঠে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ।
সান নিউজ/এমকেএইচ