সাননিউজ ডেস্ক: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়া হবে কি না, তা আইনগতভাবেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ এ অংশগ্রহণ এবং লন্ডন ও ফ্রান্সে দু-সপ্তাহের সফর বিষয়ে বুধবার (১৭ নভেম্বর) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার জন্য আমি আমার নির্বাহী ক্ষমতা বলে যা করতে পারি তাই করেছি, আইন পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে।
’৭৫ এর বিয়োগান্তক অধ্যায় টেনে এনে জাতির পিতার খুনিদের পুরস্কৃত করার পরও তাঁর সরকার খালেদা জিয়াকে মানবতা দেখিয়েছে অভিমত ব্যক্ত করে সরকার প্রধান বলেন, আমার বাবা,মা, ভাই এমনকি ছোট্ট রাসেলকে পর্যন্ত হত্যা করেছে। তারপরও তাকে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছি।কারণ আমরা অমানুষ নই ।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগারে যাওয়ার পর গত বছর মার্চে করোনাভাইরাসের কারণে সরকার দন্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে কিছু শর্তে সাময়িক মুক্তি দেয়। শর্তানুযায়ী তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। তবে, তার বাসায় থেকে চিকিৎসা নেয়ার কথা থাকলেও তিনদফায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সর্বশেষ ১৩ নভেম্বর একই হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে চান কিভাবে, খালেদা জিয়াকে যে বাসায় থাকতে এবং চিকিৎসা করার সুযোগ দিয়েছি সেটাই কি বেশি নয়।’
প্রধানমন্ত্রী বারবার তাঁকে হত্যা প্রচেষ্টায় খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক রহমানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উত্থাপন করে উল্টো প্রশ্নকারী সাংবাদিককে প্রশ্ন করেন, আপনাকে কেউ হত্যার চেষ্টা করলে আপনি কি তাকে ফুলের মালা দিয়ে নিয়ে আসতেন? বা আপনার পরিবারকে কেউ হত্যার পর বিচার না করে সেই খুনীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরী দিয়ে পুরস্কৃত করতো তাহলে কি করতেন?
সাননিউজ/এমআর