নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামীকাল বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে শিথিল করা হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। সারাদেশে চলাচল শুরু হবে গণপরিবহন। তবে গণপরিবহনে কোনো যাত্রী দাঁড়িয়ে নেয়া যাবে না বলে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও দেয়া হয়েছে আরও চারটি শর্ত।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে গণপরিবহন চলাচলের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেগুলো হলো-১. আসন সংখ্যার অতিরিক্ত কোনো যাত্রী পরিবহন করা যাবে না এবং দাঁড়িয়ে কোনো যাত্রী বহন করা যাবে না। সড়ক পথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর/ সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।
২. পূর্বের ভাড়ায় (৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া প্রযোজ্য হবে না) গণপরিবহন চলবে। পূর্বের ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া কোনোভাবেই আদায় করা যাবে না।
৩. গণপরিবহনের যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার/কন্ডাক্টর, হেলপার-কাম ক্লিনার এবং টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৪. যাত্রার শুরু ও শেষে যানবাহন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এছাড়া যাত্রীদের হাতব্যাগ, মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা যানবাহনের মালিকদের করতে হবে।
৫. গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদি মেনে চলতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে সড়কে নামতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পরিবহন কোম্পানিগুলো। বিক্রি হচ্ছে অগ্রিম টিকিটও। এছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যস্ত দোকান ও রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ।
সান নিউজ/এফএআর