নিজস্ব প্রতিবেদক: কঠোর লকডাউনের তিন দিনে রাজধানীতে এক হাজার ৪৯১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে প্রথম দিন পাঁচশ ৫০ জন, দ্বিতীয় দিনে তিনশ ২০ জন ও আজ তৃতীয় দিনে ছয়শত ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১ হতে ৭ জুলাই পর্যন্ত দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনী কাজ করছে।
প্রথম দিন গ্রেফতার: করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় রাজধানীতে ৫৫০ জনকে গ্রেফতার করে সাজা দেয়া হয় ৮ ব্যক্তিকে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৫০৭ টাকা জরিমানা করা হয়। ২৭৪টি গাড়িকে মামলা দেয়া হয়েছে। আটক করা হয় ৬টি গাড়ি। রেকারিং করা হয়েছে মোট ৭৭টি গাড়ি। ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক জরিমানা করা হয়েছে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০ টাকা।
দ্বিতীয় দিন গ্রেফতার: লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবারে ৩২০ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ডিএমপির আটটি ক্রাইম ও ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট চালিয়ে ২০৮ জনকে বিভিন্ন পরিমাণ অর্থ জরিমানা হয়। এ সময় বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে ২১৯টি মামলা দায়ের করে মোট ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ইফতেখারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তৃতীয় দিন গ্রেফতার: ‘কঠোর লকডাউন’র তৃতীয় দিন রাজধানীতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যাক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় আইন অমান্য করার কারণে। আজ ৬২১ জনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে বিধিনিষেধ ভঙ্গের কারণে এক হাজার ৪৯১ জনকে গ্রেফতার করা হলো রাজধানীতে।
শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গণ্যমাধ্যম বিভাগ থেকে জানানো হয়, ৬২১ জনকে গ্রেফতার ছাড়াও আরও ৩৪৬ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।
বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সারাদেশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় মাঠে রাখা হয়েছে ১০৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে। অফিস-আদালত, গণপরিবহন, শপিংমল বন্ধ; জরুরি সেবার গাড়ি ছাড়া সব যান্ত্রিক বাহন চলাচেলেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। জনসাধারণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে ঘরে থাকার। এই বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে।
সাননিউজ/এফএআর