জাহিদ রাকিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
মগবাজার বিস্ফোরণের চারদিন পরও আশপাশের ৫০ পরিবার এখনও অবরুদ্ধ। পুলিশ ওই বাড়িগুলোর প্রবেশ পথ বন্ধ করে দিয়েছে। তাই তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। এত তাদের জীবনে নানা সংকট দেখা দিয়েছে। বুধবার (৩০ জুন) সরেজমিনে ওই বাড়িগুলোতে গেলে সেখানকার বাসিন্দরা এই অভিযোগ করেন।
তাদের দাবি, ধ্বংসস্তুপ পড়ে থাকা গলিটি বন্ধ করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এই গলির বাসিন্দা বকুল বেগম (৫০) বলেন, ঘটনার সময় আমরা খাটে বসেছিলাম। তখন বিকট শব্দে ভূমিকম্পের মতো পুরো বাসা কেঁপে উঠে। পরে আমরা বেরিয়ে দেখি। গলির মুখে পুরােনাে ভবনটি ধসে পড়েছে। এরপর থেকে আমাদের আর বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।' আমরা নিত্য প্রয়োজনীয় কোন কিছুই কেনার জন্য বের হতে পারছি না।
সড়কের পিছনের গলিতে এক্সপ্রেস ট্রেডাস কোকাকলা ড্রিস্ট্রিবিউটর আর মালিক মো. হানিফ। তিনি বলেন, আমাদের গোডাউন এখানে, একমাত্র রাস্তা এটি, বিস্ফোরণের পর থেকে সড়ক বন্ধ থাকায় গোডাউন এই এলাকায় চারদিন কোন মালামাল বের করতে পারছি না, কোন মাল ঢুকাতে পারছি না।
গলির আরেক বাসিন্দা সাইফুল বলেন, আমাদের বাসা এখানে আজকে চারদিন যাবত বাসা থেকে বের হতে পারছি না। সামনে লকডাউন কিন্তু কোন বাজার সদায় করতে পারছি না। ফলে অনেক কষ্টে আছি।
গৃহিণী ফাতেমা বেগম (৪৫) বলেন, “দুই দিন ধরে আমরা কেউই বের হতে পারছি না, জরুরি ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। কিন্তু সড়কটি বন্ধ থাকায় ডাক্তারের কাছে যেতে পারছি না।
অন্য বাসিন্দা জামাল হোসেন জানান, বাজার করতে পারছি না। বাসায় কেউ অসুস্থ হয়ে গেলেও বের হতে পারব কি। বাসায় বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি।
দায়িত্বরত রমনা জোনের পুলিশ কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক রেজাউল করিম সাননিউজকে বলেন, তদন্তের স্বার্থে আমরা এখনো রাস্তা বন্ধ রেখেছি। খুব দ্রুত রাস্তা খুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে উওর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল ৩ এর নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাকি সাননিউজকে জানান, পুলিশের তদন্তের স্বার্থে কিছুটা সময় লাগবে। পুলিশ অনুমতি পাওয়া মাত্রই যাতায়াতে আর কোন কেনো বিধি-নিষেধ থাকবে না।'ভবনের পিছনে রাস্তার ওপর পড়ে থাকা ধ্বংসস্তুপ পরিষ্কার করা হবে।
সান নিউজ/ আরএস