বিজ্ঞান

সমুদ্রস্রোতের গতি প্রকৃতি নিরূপণ করবে ড্রোন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কার্বন নিঃসরণ ও উষ্ণায়ন প্রতিরোধে সারাবিশ্বেই জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। বিকল্প উৎস হিসেবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

এ নবায়নযোগ্য জ্বালানির অন্যতম উৎস হলো জলবিদ্যুৎ। কিন্তু সমুদ্রসীমায় এ ধরনের প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। তবে এ খরচ কমিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে ড্রোন। খবর বিবিসি।

মেরিন রিনিউয়েবল এনার্জি প্রজেক্টের ব্যয় সংকোচনে ড্রোন কতটা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে, তা জানতে একটি গবেষণা কার্যক্রম কর্মসূচী হাতে নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ইউনিভার্সিটি অব দ্য হাইল্যান্ডস এন্ড আইল্যান্ডসের (ইউএইচআই) বিজ্ঞানীরা এ গবেষণা কর্মসূচী পরিচালনা করবেন। এর আওতায় স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসে পরীক্ষামূলকভাবে মনুষ্যবিহীন আকাশযান ওড়ানো হবে।

এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু অফশোর সাইট নির্বাচন করা হবে। এরপর ড্রোনের মাধ্যমে সেখানকার পানির গতিধারার ভিডিও সংগ্রহ করা হবে। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা এ্যালগরিদম ব্যবহার করে এসব ফুটেজ পরীক্ষা করবেন এবং দেখবেন কোন দিকে সমুদ্রের তলদেশে পানির স্রোতের গতি কেমন।

ইউএইচআই জানিয়েছে, প্রচলিত পদ্ধতিতে জোয়ারের স্রোত পরিমাপ করা হয় সার্ভে ভেসেল ও সাগরের তলদেশে সেন্সর স্থাপনের মাধ্যমে। তবে এ প্রক্রিয়ায় সময় ও খরচ দুটোই বেশি লাগে।

ইউএইচআইয়ের এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. বেঞ্জামিন উইলিয়ামসন গবেষকদের ১২ মাসের এ প্রকল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘অফশোর রিনিউয়েবল এনার্জি সাইট ডেভেলপমেন্টের জন্য সমুদ্রস্রোতের গতি ও দিক নির্ধারণ খুবই জরুরি।

সাগরের তলদেশে ঠিক কোন জায়গায় টাইডাল স্ট্রিম টারবাইন স্থাপন করলে এর কার্যকারিতা ও পারফরম্যান্স সবচেয়ে বেশি পাওয়া যাবে, তা নিরূপণের জন্য এ তথ্য জানা প্রয়োজন।’

প্রচলিত পদ্ধতিতে এসব তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়াটি বেশ ব্যয়সাপেক্ষ ও ঝুঁকিপূর্ণ। সমুদ্রস্রোতের গতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি ইউএইচআইয়ের অন্য একটি গবেষণা দল সাগরে প্লাস্টিক দূষণের মাত্রা পরিমাপের জন্য পৃথক একটি গবেষণা চালাবে।

এক্ষেত্রেও ড্রোন ব্যবহার করবে তারা। সাগরে মানবসৃষ্ট দূষণ পরিবেশবাদীদের কাছে অত্যন্ত উদ্বেগজনক একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমুদ্র থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণের ওপর বরাবরই জোর দিয়ে আসছে তারা।

এর আগেও স্যাটেলাইট ব্যবহার করে সাগরের দূষণ পরিমাপের কার্যক্রম চালানো হয়েছে। তবে এবারের গবেষণাটি হবে একটু ব্যতিক্রম। ইউএইচআইয়ের গবেষকরা বলছেন, তাদের গবেষণাটি পরিচালনা করা হবে দিনের আলোয়। এক্ষেত্রে থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, তা পর্যবেক্ষণ করবেন তারা।

সান নিউজ/এসএ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

আজ বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস

সান নিউজ ডেস্ক: আজ ২৩ এপ্রিল, বিশ...

কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ও কাতা...

চরাঞ্চলে তরমুজের বাম্পার ফলন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার চ...

দেশবিরোধী অপশক্তি ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশবিরোধী একটি...

কাতারের আমির-প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: কাতারের আমির শে...

এক জেলায় ঝড়বৃষ্টির আভাস

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ সিলেট জেলার...

বটির ওপর পড়ে প্রাণ গেল শিশুর

জেলা প্রতিনিধি: বগুড়ার কাহালুতে বটির ওপর পড়ে গিয়ে রাহামনি (৬...

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান...

সারাদেশে হিট স্ট্রোকে আরও ৯ মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীসহ সারাদ...

অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নের পেছন থে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা