ভিয়েতনামে নির্যাতনের শিকার সুমনের দেশে ফেরার আকুতি
প্রবাস

ভিয়েতনামে নির্যাতনের শিকার সুমনের দেশে ফেরার আকুতি

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:

বেশি বেতনে কাজের পাবার আশায় দালালের প্রলোভনে পড়ে ভিয়েতনামে গিয়েছিলেন মো. সুমন মিয়া। ভাগ্য বদলের পরিবর্তে সুমনের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। ভিয়েতনামে থাকা পাচারকারী চক্র তাকে নির্যাতন করতে থাকে ক্রমাগত। তাকে জিম্মি করে দেশে থাকা তার মায়ের কাছ থেকে আদায় করা হয় টাকা। কয়েকজন বাংলাদেশির সহায়তায় জীবন বাঁচিয়ে ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাসে যায় সে। তবে দেশের ফিরতে বিমানের টিকিটের টাকা না থাকায় আটকে আছে সে।

ভিয়েতনামে পাচারের শিকার সুমনের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ। ২০১৯ সালে দালালের প্রলোভনে পড়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ভিয়েতনাম যায়। গিরন্ট সরকার নামের এক দালাল ঢাকা বিমানবন্দরে বডি কন্ট্রাক করে কম্বোডিয়া পাঠায় তাকে। কোনও কাজ দেওয়া হয় না সুমনকে। বরং সেখানে থাকা ফয়েজ তাকে জিম্মি করে, নির্যাতন করতে থাকে। পরবর্তীকালে দেশে থাকা সুমনের পরিবারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয় দালাল ফয়েজ। তবে তাতেও মুক্তি মেলেনি সুমনের, উল্টো তাকে আরেক দালাল শরিফের কাছে বিক্রি করে দেয়।

এবার দালাল শরিফ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আবার সুমনকে ভিয়েতনামে পাঠায়। তাতেও ভাগ্য বদলায় না সুমনের, ভিয়েতনামে থাকা দালাল আতিক জিম্মি করে নির্যাতন করে তাকে। আবার ৫০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয় দেশে থাকা সুমনের মা।

তাতেও মুক্তি মেলে না সুমনের, তাকে আরেক দালাল সাইফুলের হস্তান্তর করা হয়। সাইফুল নির্যাতন চালিয়ে সুমনের পরিবারের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা আদায় করে। আবার সুমনকে এক ভিয়েতনামি নারীর বিক্রি করে দেওয়া হয়। টাকার জন্য আবার শুরু হয় নির্যাতন। ১৬ শত মার্কিন ডলার দিয়ে মুক্তি পায় সুমন।

পরে কয়েকজন বাংলাদেশির সহায়তায় জীবন বাঁচিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেয় বাংলাদেশ দূতাবাসে। গত এক মাস ধরে বাংলাদেশ দূতাবাসের অধীনে আছেন সে।

সুমন মিয়া জানায়, ‘আমাকে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। আমাকে হাত, পা বুক কোথাও বাকি নাই যে মারেনি। তারা আমাকে মেরে মেরে দেশে থেকে টাকা আনতে বাধ্য করেছে। এখন আমি খেতে পারি না, খাওয়ার পর বমি হয়। বাঁচবো কি না জানি না।’

দেশে ফেরা প্রসঙ্গে সুমন মিয়া বলেন, দূতাবাস একটা জায়গায় আমাদের থাকার জায়গা দিয়েছে, কিন্তু খাওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই সেখানে। যার যার নিজের টাকায় খেতে হয়। আমার টাকা নেই, আমি অন্য মানুষের কাছ থেকে চেয়ে, ধার করে কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। ভিয়েতনামে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরাতে একটা ফ্লাইট দেওয়া হবে। দূতাবাস জানিয়েছে আমি যদি টিকিটের টাকা দেই তাহলে আমাকেও দেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। আজকের (১৬ আগস্ট) মধ্যে বিমান টিকিট বাবদ ২৫,২৩০ টাকা দিলে দেশে ফিরতে পারবো। আমার বিএমইটি কার্ড না থাকায় দূতাবাস কোন সাহয্য করতে পারবে না বলে দিয়েছে। আমি বলেছিলাম, দেশে ফিরে কাজ করে টাকা শোধ করবো। আমি তো বাংলাদেশের নাগরিক, আমি কি নিজের দেশেও ফিরে যেতে পারবো না।

সুমন মিয়া বলেন, আমার অসুস্থ মা দেশে বিভিন্ন মানুষের কাছে চেয়ে ১৫ হাজার টাকা জোগাড় করতে পেরেছে। আরও ১০ হাজার ২৩০ টাকা। আমি দেশে ফিরতে চাই, আমি বাঁচতে চাই।

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

হাসিনার মতো ভুল করবেন না, ড. ইউনূসকে সতর্কবার্তা হেফাজতের

বর্তমান সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে হেফাজতে ইসলামের নেতার...

টিভিতে আজকের খেলা

প্রতিদিনের মতো আজ শনিবার (৩ মে) বেশ কিছু খেলা প্রচারিত হবে টেলিভিশনের পর্দায়।...

ফেনীতে তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী বাদশা গ্রেফতার

ফেনীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকাভুক্ত এক ছিনতাইকারী চক্রের প্রধানকে গ্রেফতার...

সিন্ধু নদে বাঁধ দিলে ভারতে হামলার হুঁশিয়ারি পাকিস্তানি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

সিন্ধু নদের পানিপ্রবাহ বন্ধ করলে পাকিস্তান সামরিক হামলা চালাবে বলে হুঁশিয়ারি...

মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে ফুলবাড়ীতে উত্তেজনা

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান ও চাঁদাবাজির অভিযোগ নিয়ে ত...

বগুড়ায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় মাছ বিক্রি করতে গিয়ে বজ্রপাতে আপন দুই ভাইয়ের মৃ...

জামালগঞ্জে ২৬৪ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ, গ্রেফতার ৩

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে বিপুল প...

নীলফামারী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়

নীলফামারী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের পৃ...

গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করে প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকে বহিষ্কারের চেষ্টা

সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুর (২৯৩৬) এর সভাপতি জি এম হিরু ও সাধারণ সম্পাদক মাহফিজু...

কালীগঞ্জে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন

গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার আয়োজনে বিনামূল্যে সেলাই, হস্তশিল্প ও বিউটিফিকেশন ব...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা