সান নিউজ ডেস্ক: দুবাইয়ে ভালো নেই প্রবাসী শ্রমিকরা। তারা এতোটাই খারাপ আছেন যে ভালো নেই এই কথাটা বলার সাহস নেই তাদের।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে পরাজিত করা সম্ভব নয়
এক বাংলাদেশি শ্রমিক জানান, সেখানে দিনে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা কাজ করে মাসে দেড় থেকে দুই হাজার দেরহাম বেতন পান। এই বেতন বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা। এই টাকার পুরোটা দেশে পাঠানোর চেষ্ঠা করেন। নিজে চলার জন্য ডিউটির অতিরিক্ত পার্কিং-এর গাড়ি পরিষ্কার করে কিছু আয় করেন। এভাবেই চলছে মাসের পর মাস।
আরও এক শ্রমিক জানান, পার্কিং-এ আসা গাড়িগুলো পরিষ্কার করে দেওয়ার জন্য তারা গাড়ির মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। কেউ সম্মত হলে ৫ থেকে ১০ দেরহাম বকশিস পান। এই বাড়তি টাকা দিয়ে দুবাইয়ে কষ্ট করে জীবন যাপন করছেন তার মতো আরো অনেকেই।
আরও পড়ুন: ভারত যাওয়া হলো না পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
দুবাইয়ের আজমানে কনস্ট্রাকশন সাইটে কর্মরত অপর এক বাংলাদেশি শ্রমিক জানান, দুবাইয়ে বর্তমান তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী। এই তাপমাত্রা মানে শীতকালই বলা চলে। পারভেজ বলেন ‘আমরা ৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যেই ৮ ঘণ্টা রোদে কাজ করি। আমরা এই দেশে কত কষ্ট করে টাকা আয় করি তা বলে বুঝাতে পারবো না। মাসে যে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করি দেশে এমন পরিশ্রম করলে হয়তো আরও ভালো টাকা আয় করতে পারতাম। দুবাইয়ের এই নিষ্ঠুর শহরে এসে আমরা এখন সত্যিই অসহায়।
দুবাইয়ে ভালো বেতনে দোকানে চাকরি দিয়ে ওয়ার্কিং ভিসা দেওয়া হবে- এমন প্রতিশ্রুতিতে ভ্রমণ ভিসা নিয়ে দুইমাস আগে দুবাই এসেছেন এক বাংলাদেশি। তিনি বলেন, ‘আমার ভিজিট ভিসা নিয়ে দুবাইয়ে আসতে এক লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। এখন কাজের ভিসার জন্য আরও ২ লাখ দিতে হবে। এর মধ্যে যে কাজের কথা বলে আনা হয়েছিল তার পরিবর্তে কনস্ট্রাকশন শ্রমিক হিসেবে কাজ দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: কানাডায় হামলার ঘটনা হৃদয়বিদারক
তিনি আরও বলেন, আমার পক্ষে এতো পরিশ্রমের কাজ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আমি এখন কী করবো বুঝতে পারছি না। বাড়ি ফিরে যাওয়ার সামর্থও নাই। দুবাইয়ে আমরা কঠিন অবস্থার মধ্যে বেঁচে আছি।
সান নিউজ/এনকে