নিজস্ব প্রতিবেদক: এবার ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে দলের চেয়ারপার্সনের জন্মদিনের নামে কোন কর্মসূচী রাখবে না বিএনপি । দলের একাধিক নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সূত্র : ভয়েচ অব আমেরিকা
শোক দিবসে জন্মদিন পালন করা নিয়ে অনেক দিন থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মাঝে বিতর্ক চলছে। দুই দলের নেতারা বিভিন্ন সময়ে বিতর্কও করেছেন। প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু বিএনপি’র আচরণকে অসুস্থ মানসিকতা বলে মন্তব্য করেছেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজম বলেন, শোক দিবসে যেকোন বাড়াবাড়ির কঠোর জবাব দেওয়া হবে। এদিকে বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবার তারা কোন অনুষ্ঠান রাখবে না। বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে কোন অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জন্মদিন বিতর্কে আওয়ামী লীগ অতীতের চেয়ে এখন অনেক বেশি কঠোর অবস্থানে। গত কয়েক বছরে সারাদেশে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শোক দিবসে জন্মদিন করা নিয়ে ৮টি মামলা করেছে আওয়ামী লীগের কর্মীরা। উচ্চ আদালত জন্মদিনের সকল নথি তলব করেছে।
আওয়ামী লীগ কর্মীদের করা মামলায় বলা হয়েছে, এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে খালেদা জিয়ার জীবনী পাঠানো হয়। এতে জন্মদিন লেখা হয়, ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট। জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন লেখা আছে, ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট। ২০০১ সালে খালেদা জিয়ার মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট বলে উল্লেখ রয়েছে।
কিছুদিন আগে বাস্তবতা অনুধাবন করে মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন বিএনপিকে। বিএনপি এরপর জাফরুল্লার সমালোচনা করে।
সান নিউজ/এমএম