জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক দাবিগুলো সরকারকে মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না বলেন, জবির শিক্ষার মানোন্নয়নে, জমি ও হল উদ্ধারে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। অথচ সরকার জবির যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে না নিয়ে বল প্রয়োগের পথ বেছে নেয় যা নিন্দনীয়।
শুক্রবার (১৬ মে) সকাল ১১টায় ঢাকার মতিঝিলের একটি রেস্টুরেন্টে মুক্তিজোটের নেতা কর্মীদের সংঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ দাবি করেন দলটির সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না।
সভায় সরকারকে রাখাইনদের মানবিক করিডোর দেওয়ার নৈতিক সিদ্ধান্তের ইতি টানার দাবি করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার জনগণের সংঙ্গে আলোচনা না করে কোন অধিকার বলে মানবিক করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের তত্ত্বাবধানে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। যেখানে চট্টগ্রাম বন্দরের পাশেই আমাদের নৌ ও সেনা ঘাটি। এ সিদ্ধান্ত দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি। নির্বাচিত সরকার ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এমন সিদ্ধান্ত দেশের জন্য বুমেরাং।
তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও গণমানুষের রায় উপেক্ষা করে মানবিক কড়িডোর ও বন্দর দেওয়ার সিদ্ধান্ত এই সরকারকে রাজনৈতিক দল ও জনগণের মুখোমুখি করবে। যেখানে গণমানুষের চাওয়া রোহিঙ্গাদের তাদের ভুমিতে ফেরাতে ভুমিকা রাখা; অথচ তা না করে এই সরকারের আমলে আমরা দেখলাম আরো ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশ করলেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায় রোহিঙ্গারা এখন শুধু চট্টগ্রাম বিভাগে নয় পঞ্চগড় থেকেও এনআইডির আবেদন করছে যা দেশের জন্য চরম ভিতিকর।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যে ছাত্র-জনতার রক্তের উপর আপনারা দাড়িয়ে আছেন তাদের এখন পর্যন্ত যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্হা করতে পারেননি। চিকিৎসার জন্য আহতদের রাস্তায় দাড়াতে হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা দিনকে দিন অবনতি হচ্ছে। মব জাস্টিস বাড়ছে। আপনারা এগুলোর দিকে দৃষ্টি দেন। আগে নিজের দেশ বাঁচান, তা না হলে জনগন আপনাদেরও বিগত প্রতিত সরকারের মত অবস্থা করবে।
সভায় মুক্তিজোটের সাধারণ সম্পাদক মো: শাহজামাল আমিরুলের সঞ্চালনায় মুক্তিজোটের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য মো: মজিবুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহেল আহমেদ সোহেল, কার্যনির্বাহী সদস্য (দপ্তর) উত্তম কুমার ঘোষ, শ্রমিক মুক্তিজোটের আহ্বায়ক মো: রাসেদুল ইসলাম খোকন, যুব মুক্তিজোটের আহ্বায়ক মো: আব্দুল আউয়ালসহ আগামী নির্বাচনের প্রাথীগণ ও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাননিউজ/ইউকে