মতামত

জাতীয় প্রতীকের দখলযুদ্ধ, থামাবে কে?

এসএম হাসানুজ্জামান: বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতীক মানে কেবল একটি চিহ্ন নয়, এটি এক ধরনের অস্তিত্বের ঘোষণা, আত্মপরিচয়ের প্রতিমূর্তি, এবং ক্ষমতার প্রতীকী অনুবাদ। রাষ্ট্র ও দল, জনগণ ও নেতৃত্ব এই চার উপাদানের মধ্যে যোগাযোগের যে সেতু, সেই সেতুর স্তম্ভ গড়ে ওঠে প্রতীকের ওপর। নির্বাচন কমিশনের দরজায় নিবন্ধনপ্রত্যাশী দলগুলোর ভিড় যেমন রাজনৈতিক পুনর্জন্মের আকাঙ্খা, তেমনি প্রতীকের জন্য তীব্র আকুতি প্রকাশ করে রাজনৈতিক অস্তিত্বের নিরাপত্তাহীনতাকেও। আর এই প্রেক্ষাপটে ‘শাপলা’ নামক প্রতীকের চারপাশে যে তর্ক, তীব্রতা ও তত্ত্ব-রাজনীতি জড়িয়ে পড়েছে, তা কেবল কোনো দলের প্রতীক চাওয়ার কাহিনি নয়, এটি রাষ্ট্রের প্রতীক ব্যবহারের নৈতিক সীমানা, সাংবিধানিক সংযম এবং রাজনৈতিক রুচির এক সম্মিলিত পরীক্ষা।
প্রতীকের দার্শনিক ব্যাখ্যা
প্রতীক রাজনীতিতে যেমন পরিচয়ের বাহন, তেমনি গণমনে আস্থার ভরসাও। কোনো প্রতীক যখন দলীয় পতাকার মতো জাতিসত্তার সঙ্গে মিলিত হয়, তখন সেটি এক ধরনের আবেগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। বাংলাদেশে ভোটারদের বড় অংশ এখনো প্রতীককেন্দ্রিক,দলের নাম নয়, তারা ভোট দেয় ‘ধানের শীষ’, ‘নৌকা’, ‘লাঙ্গল’ বা ‘ট্রাক’-এ। তবে এই প্রতীকগুলির গভীরে থাকে দীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাস, আদর্শের চিহ্ন এবং ক্ষমতার বীজ। একজন বিশ্লেষকের ভাষায় প্রতীক হচ্ছে সেই নিরব ভাষা, যার মাধ্যমে রাজনীতি জনগণের সঙ্গে কথা বলে। কিন্তু যখন সেই ভাষা নিয়ে লড়াই শুরু হয়, তখন রাজনীতি আর জনতার মধ্যকার সম্পর্ক রূপ নেয় এক প্রকার বিশ্বাসঘাতকতায়।
শাপলা বিতর্কের সাংবিধানিক পরিধি
বাংলাদেশের সংবিধান প্রতীকের মর্যাদা নিয়ে নির্দিষ্ট বিধান রেখেছে। রাষ্ট্রীয় প্রতীক হিসেবে ‘পানিতে ভাসমান শাপলা’ কেবল একটি ফুল নয়, এটি মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর বাংলাদেশের পুনর্জাগরণের প্রতীক, জাতীয় জীবনের এক বিমূর্ত রূপ। এই প্রতীকের চারপাশে ধানের শীষ, পাটগাছের পাতা ও তারকা মিলিত হয়ে তৈরি করেছে জাতির ভিজ্যুয়াল পরিচয়, যার মধ্যে নিহিত আছে উৎপাদন, শ্রম, স্বপ্ন ও শান্তির প্রতীকী অনুষঙ্গ। অতএব, কোনো রাজনৈতিক দল যদি এই জাতীয় প্রতীককে নিজের দলীয় পরিচয়ে রূপ দিতে চায়, সেটি কেবল প্রশাসনিক আপত্তির বিষয় নয়,এটি এক ধরনের সাংবিধানিক অবমাননা এবং জাতীয় প্রতীক আত্মসাতের প্রচেষ্টা। তবু নতুন প্রজন্মের দল এনসিপি যখন ঘোষণা দেয়, “শাপলাই চাই, অন্য কিছু নয়,” তখন বিষয়টি কেবল প্রতীকের দাবিতে সীমাবদ্ধ থাকে না; এটি পরিণত হয় প্রতীকী প্রতিরোধে। এনসিপি মনে করে, জাতীয় প্রতীক ব্যবহারে কোনো আইনগত বাধা নেই, এ এক রাজনৈতিক কৌশল, যার মাধ্যমে তারা নিজেদের ‘জাতীয়তাবাদী উত্তরাধিকার’-এর দাবিদার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কিন্তু এই অবস্থান রাষ্ট্রীয় প্রতীককে দলীয় সীমানায় টেনে আনার এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত তৈরি করছে।
ধানের শীষ ও লাঙ্গলের ঐতিহাসিক আবর্ত
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধানের শীষ যেমন ক্ষমতার রূপক, তেমনি লাঙ্গল ইতিহাসের কৃষিজীবী সমাজের প্রতীক। ধানের শীষ এক সময় ভাসানী ন্যাপের হাতে ছিল একটি আন্দোলন নির্ভর দল, যারা জাতীয়তাবাদের আদর্শিক কাঠামো তৈরি করেছিল। স্বাধীনতার পর এই প্রতীক চলে যায় বিএনপির হাতে, জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক পুনর্গঠনের হাত ধরে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধানের শীষ হয়ে ওঠে বিরোধিতার প্রতীক, আপোসহীনতার ভাষা। অন্যদিকে, লাঙ্গল, যা একদা শেরেবাংলা ফজলুল হকের কৃষক প্রজা পার্টির পরিচায়ক ছিল, এরশাদের হাতে এসে হয়ে যায় জাতীয় পার্টির প্রতীক। কৃষক রাজনীতির ঐতিহ্য বদলে তা রূপ নেয় ক্ষমতাকেন্দ্রিক প্রতীকে। এখন যখন জাতীয় লীগ দাবি করছে, লাঙ্গল তাদের ঐতিহ্যগত সম্পদ, তখন বিষয়টি কেবল প্রতীক পুনরুদ্ধারের নয়, এটি রাজনৈতিক উত্তরাধিকারের বৈধতা প্রতিষ্ঠার প্রশ্নও। এই দন্ধগুলো আসলে প্রতীকের সীমারেখায় দলীয় ইতিহাসের সংঘর্ষকেই প্রতিফলিত করে যেখানে প্রতীক শুধু পরিচয়ের বাহন নয়, বরং ইতিহাসের স্মারক হয়ে ওঠে।
প্রতীকের মালিকানা ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন ২০০৮ সালে দলীয় নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করে। সেই থেকে প্রতীক হয়ে ওঠে দলীয় স্বত্বাধিকারভুক্ত একটি আইনি সম্পদ। একবার কোনো প্রতীক বরাদ্দ হলে, সেটি অন্য দলের জন্য উন্মুক্ত থাকে না। তবে এই নিয়মের আগে প্রতীক ব্যবহারে কোনো বাধা না থাকায় ইতিহাসে দেখা গেছে, একই প্রতীক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দলের হাতে ঘুরে বেড়িয়েছে, আনারস, বাইসাইকেল, গোলাপ ফুল কিংবা ধানের শীষ, সবই কখনো না কখনো অন্য দলের পক্ষে ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু আধুনিক রাজনীতিতে প্রতীকের এই ঘুরপাক আর সহজ নয়। এখন এটি এক ধরনের আইনি একচেটিয়া অধিকার। সুতরাং, এনসিপি যখন দাবি তোলে যে নির্বাচন কমিশন “ইচ্ছাকৃতভাবে শাপলাকে প্রতীকের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেনি,” তখন তারা আসলে এই আইনি প্রক্রিয়াকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তবে নির্বাচন কমিশনেরও দায়িত্ব ছিল শুরু থেকেই বিষয়টি স্বচ্ছভাবে ব্যাখ্যা করা জাতীয় প্রতীক কোনো দলের প্রতীক হতে পারবে না, এই নীতিগত অবস্থান যদি স্পষ্টভাবে জানানো হতো, তাহলে বিতর্কটি এই পর্যায়ে আসত না। আজ ইসিকে কেবল প্রশাসনিক সংস্থা নয়, বরং গণতন্ত্রের প্রতীকী ন্যায্যতার রক্ষাকবচ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তার সিদ্ধান্ত যদি স্বচ্ছতার ঘাটতিতে ভোগে, তাহলে তা শুধু এক দলের নয়, পুরো রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করে।
প্রতীক ও জনপ্রিয়তার ভ্রান্ত ধারণা
রাজনৈতিক দলগুলো প্রায়ই মনে করে প্রতীকই জনপ্রিয়তার মূল উৎস। অথচ বাস্তবতা ভিন্ন। প্রতীকের সৌন্দর্য বা জাতীয় পরিচয়ের সঙ্গে তার মিল দলকে জনপ্রিয় করে তোলে না। উদাহরণস্বরূপ, গোলাপ ফুলের মতো নান্দনিক প্রতীক ধারণ করেও কোনো দল জাতীয় রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবস্থান তৈরি করতে পারেনি। কারণ ভোটাররা শেষ পর্যন্ত দল নয়, বিশ্বাসযোগ্যতা, আদর্শ ও নেতৃত্বকেই বিচার করে। তবু প্রতীকের প্রতি অতিরিক্ত অনুরাগ এক ধরনের রাজনৈতিক মনোবিকার সৃষ্টি করে, যেখানে প্রতীকই হয়ে ওঠে অস্তিত্বের একমাত্র প্রমাণ, আর আদর্শ, নীতি, কর্মসূচি হয়ে পড়ে গৌণ। এনসিপি যে দৃঢ়ভাবে বলছে “শাপলা না পেলে আন্দোলন,” সেটি প্রতীকের প্রতি অতি-নির্ভরতারই প্রতিফলন।
প্রতীক রাজনীতি বনাম আদর্শ রাজনীতি
বাংলাদেশের রাজনীতি ক্রমে প্রতীকের রাজনীতিতে পরিণত হচ্ছে। একদিকে নৌকা, অন্যদিকে ধানের শীষ ইত্যাদি এই প্রতীকবাদের মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে বাস্তব রাজনৈতিক কর্মসূচি, নৈতিকতা ও আদর্শ। নতুন প্রজন্মের দলগুলো, বিশেষ করে এনসিপির মতো সংগঠনগুলো, যদি একই পথ অনুসরণ করে, তবে তাদের ভবিষ্যৎও হবে পুরনো দলগুলোর প্রতীকী ছায়ার পুনরাবৃত্তি।
রাজনীতির ইতিহাসে দেখা গেছে, প্রতীক তখনই শক্তিশালী হয় যখন সেটি জনমানসে নির্দিষ্ট কোনো মূল্যবোধ বা সংগ্রামী অর্থ বহন করে। ধানের শীষ টিকে গেছে কারণ এটি এক সময় স্বৈরাচারবিরোধী প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে উঠেছিল; লাঙ্গল টিকে গেছে কারণ এটি কৃষক রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। শাপলা যদি সত্যিই জনগণের হৃদয়ে জায়গা করতে চায়, তাহলে সেটিকে প্রতীকের সৌন্দর্য নয়, রাজনৈতিক দর্শনের প্রতীক হিসেবে দাঁড় করাতে হবে।
জাতীয় প্রতীকের পবিত্রতা ও রাজনৈতিক দায়িত্ব
রাষ্ট্রের প্রতীক হলো জাতির অভিন্ন ঐক্যের প্রতীক। এটি কোনো দল, মত বা ব্যক্তির সম্পত্তি নয়। জাতীয় প্রতীকের সঙ্গে দলীয় প্রতীকের সম্পর্ক যত ঘনিষ্ঠ হয়, রাষ্ট্রীয় পরিচয় তত বিভক্ত হয়ে পড়ে। ইতিহাসে আমরা দেখেছি, রাষ্ট্রীয় প্রতীককে দলীয় সীমানায় টেনে আনা মানেই জাতীয় চেতনাকে সংকুচিত করা। এমন উদাহরণ পাকিস্তানের রাজনীতিতে যেমন দেখা গেছেÑচাঁদ-তারা প্রতীকের অপব্যবহার এক সময় ধর্মীয় একচ্ছত্রতার প্রতীক হয়ে উঠেছিলÑতেমনি ভারতের কিছু আঞ্চলিক রাজনীতিতেও জাতীয় প্রতীককে দলীয় প্রচারণার অংশ বানানো হয়েছে, যার ফলাফল হয়েছে সাংবিধানিক সংকট। বাংলাদেশে শাপলাকে কেন্দ্র করে যদি একই ধরনের প্রতীকি রাজনীতি শুরু হয়, তবে এটি ভবিষ্যতের জন্য বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত তৈরি করবে। কারণ একবার জাতীয় প্রতীক দলীয় প্রতীকে পরিণত হলে, রাষ্ট্রের নিরপেক্ষতার নৈতিক ভিত্তি নষ্ট হয়।
প্রতীক ও গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতা
গণতন্ত্রের সৌন্দর্য প্রতীকের বৈচিত্র্েয নয়, বরং রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার ন্যায্যতায়। যে দেশে প্রতীকের জন্য আন্দোলন হয়, অথচ আদর্শ ও কর্মসূচি অনুপস্থিত থাকে, সেই দেশে গণতন্ত্র কেবল আনুষ্ঠানিকতার রূপ নেয়। আজ যখন এনসিপি শাপলার জন্য হুমকি-ধমকি দিচ্ছে, তখন প্রশ্ন উঠছে, তাদের আসল লড়াই কি প্রতীকের, নাকি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারের? প্রতীক যদি গণতন্ত্রের চাবিকাঠি হতো, তবে গোলাপ, আনারস, রকেট বা ফুলকপির দলগুলোও আজ প্রধানধারার রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, প্রতীক যতই আকর্ষণীয় হোক, আদর্শহীন রাজনীতি শূন্যই থেকে যায়।
নির্বাচন কমিশনের নৈতিক দায়িত্ব
এই প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশনের ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসিকে শুধু আইনি ব্যাখ্যা নয়, নৈতিক নেতৃত্বও প্রদর্শন করতে হবে। তারা যদি কোনো দলকে জাতীয় প্রতীক ব্যবহারে বাধা দেয়, সেটি আইনি কর্তব্য; কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের ভাষা ও প্রক্রিয়া যদি অস্পষ্ট হয়, তবে জনগণের চোখে তাদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। ইসি এখন শুধু প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান নয়, বরং গণতন্ত্রের আস্থার প্রতীক। তাদের প্রতিটি সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতা, ব্যাখ্যা ও আইনি দৃঢ়তা থাকা আবশ্যকÑযাতে কেউ বলতে না পারে, কোনো প্রতীকের নিষেধাজ্ঞার আড়ালে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে।
প্রতীকের সীমা ও রাজনীতির লক্ষ্য
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আজ এক অদ্ভুত প্রবণতা তৈরি হয়েছে, দলগুলো প্রতীকের জন্য যুদ্ধ করে, কিন্তু দর্শনের জন্য নয়। প্রতীক হয়ে গেছে অস্তিত্বের প্রতিরূপ, অথচ রাজনীতি হারিয়েছে তার নৈতিক অন্তঃসত্তা। শাপলা, ধানের শীষ, লাঙ্গল সব প্রতীকই এক সময় মানুষের স্বপ্ন, পরিশ্রম ও সংগ্রামের ভাষা ছিল। কিন্তু এখন সেগুলো হয়ে উঠেছে ক্ষমতার প্রতীকী তাবিজ, যার মাধ্যমে দলগুলো নিজেদের বৈধতা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কিন্তু ইতিহাস প্রমাণ করে প্রতীকের চেয়ে শক্তিশালী হলো কর্মসূচি, নীতি ও নেতৃত্বের সততা। একটি দল যদি জনগণের বিশ্বাস অর্জন করতে পারে, তবে তার প্রতীক যাই হোক ফুল, কলম বা কেটলি তাতে কিছু যায় আসে না।

উপসংহার: প্রতীকের গন্ডি পেরিয়ে নতুন রাজনীতির আহবান
বাংলাদেশ এখন এক নতুন রাজনৈতিক যুগে প্রবেশ করছে, যেখানে পুরনো দলগুলোর প্রতীকী আধিপত্য ভেঙে নতুন দলগুলো আত্মপ্রকাশ করছে। কিন্তু যদি নতুন প্রজন্মের এই দলগুলোও প্রতীকের রাজনীতিতেই আটকে যায়, তবে তাদের ভবিষ্যৎ পুরনোদের মতোই নিষ্ফল হবে। প্রতীককে ভালোবাসা দোষের নয়, কিন্তু প্রতীকের জন্য অন্ধ লড়াই গণতন্ত্রের পরিপন্থী। রাজনীতি তখনই অর্থবহ হয়, যখন প্রতীক হয়ে ওঠে জনকল্যাণের প্রতীক, নৈতিকতার প্রতিফলন শুধু নির্বাচনী মার্কা নয়। এনসিপি যদি সত্যিই জনগণের মন জয় করতে চায়, তবে তাদের প্রথম কর্তব্য হবে জাতীয় প্রতীকের প্রতি শ্রদ্ধা, রাজনৈতিক শালীনতার অনুশীলন এবং গণতন্ত্রের প্রতি অবিচল বিশ্বাস। শাপলা, ধানের শীষ, লাঙ্গল সবই আমাদের ইতিহাসের অংশ। কিন্তু ইতিহাসের মালিকানা প্রতীকের নয়, যারা জনগণের পাশে দাঁড়ায় তাদেরই। একদিন হয়তো শাপলা আবারও ফুটবে, কিন্তু সেটি কোনো দলের হাতে নয়Ñজনগণের আস্থার প্রতীকে।

লেখক: এসএম হাসানুজ্জামান, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কলামিস্ট, রংপুর।

[email protected]

সান নিউজ/আরএ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

সাবেক মেয়র তাপসের ৩ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে মামলার...

বাংলাদেশ সিরিজের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের দল ঘোষণা

চলতি মাসেই বাংলাদেশে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট টিম। বাংলাদেশ টিমের সাথে তিন...

শাপলা না দিলে ধান-সোনালি আঁশ বাদ দিতে হবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

নির্বাচন কমিশনের সামনে পথ দুটি—হয় শাপলা প্রতীক দিতে হবে নয়তো ধান, সোনাল...

বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

ঢাকায় নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি...

সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারায় মায়ের লাশ ২০ ঘণ্টা পর দাফন

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ১২ শতক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মায়ের মরদেহ দাফনের আগে ২...

জাতীয় প্রতীকের দখলযুদ্ধ, থামাবে কে?

এসএম হাসানুজ্জামান: বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতীক মানে কেবল একটি চিহ্ন নয়, এটি...

শাপলা না দিলে ধান-সোনালি আঁশ বাদ দিতে হবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

নির্বাচন কমিশনের সামনে পথ দুটি—হয় শাপলা প্রতীক দিতে হবে নয়তো ধান, সোনাল...

লক্ষ্মীপুরে সন্তান কতৃক বাবা-ভাইকে হত্যার হুমকি

লক্ষ্মীপুরে কানাডা প্রবাসী ফিরোজ আলম সবুজের বিরুদ্ধে তার বাবা ও ছোট ভাইকে মোব...

বিএনপি সরকার গঠিত হলে সারা দেশে প্রান্তিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র হবে: ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার

বিএনপি সরকার গঠনের পর দেশের প্রতিটি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে আধুনিক প্রান্তিক...

সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারায় মায়ের লাশ ২০ ঘণ্টা পর দাফন

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ১২ শতক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মায়ের মরদেহ দাফনের আগে ২...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা