কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের ওষুধ রাখার গুদামে আজ রোববার অভিযান চালায় দুদক। কুমেক হাসপাতালের ওষুধ কেনাকাটায় বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে’ এমন তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি দুদকের নজরে আসে। অভিযানে অনিয়মের প্রমাণও পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, ‘অনিয়মের বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবেদন করা হবে।
রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অভিযান ও অনুসন্ধান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
দুদক সমন্বিত কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল হাসপাতালের মেডিসিন স্টোর রুম ও পরিচালকের কার্যালয়ে অনুসন্ধান চালায়। এ সময় তারা পরিচালকের কার্যালয়ের বিভিন্ন নথিপত্র, ওষুধের স্টোর রুমের মজুদ এবং কেনাকাটা সংক্রান্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এছাড়াও অনিয়মের বিষয়ে তারা কুমেকের পরিচালক মো. মাসুদ পারভেজের কাছ থেকে অভিযোগের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন এবং সংশ্লিষ্ট নথিগুলো তলব করেন। তখন তিনটি ওষুধ কেনাকাটায় কার্যাদেশ ও ক্রয় সংক্রান্ত নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এতে যে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে তা উল্লেখ করে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য দুদক কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কাছে আবেদন করা হবে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, দুদক কর্মকর্তারা ওষুধ কেনাকাটার বিভিন্ন তথ্য ও নথিপত্র দেখতে চেয়েছেন, আমরা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছি। কেনাকাটায় কোনো অনিয়ম হয়নি বলে তিনি দাবি করেছেন।
সাননিউজ/আরআরপি