আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইকুয়েডরের গুয়াইয়াকিল শহরের একটি কারাগারে অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন : ১৩ রাষ্ট্রদূতকে সতর্ক করল বাংলাদেশ
মঙ্গলবার দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতর জানিয়েছে, কারাগারটিতে মৃতের সংখ্যা ১৮ থেকে বেড়ে ৩১ জন আর আহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ সহিংসতায় শহরটিতে তাদের দফতরে ককটেল হামলায় এক বেসামরিক আহত হয়েছেন।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশব্যাপী ছয়টি কারাগারে জিম্মি করে রাখা প্রায় ১২০ জনের মতো কর্মকর্তাকে মুক্ত করা হয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি কারাগারে অনশন ধর্মঘট শুরু হয়েছে, এমন কথা শোনা গেলেও সরকারিভাবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন : নাইজেরিয়ায় হামলা, সৈন্যসহ নিহত ৩৪
আগামী ২০ আগস্ট ইকুয়েডরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিছু প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নির্বাচিত হলে কারাগার সংস্কার করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ নির্বাচন ঘিরে কারাগারগুলোতে এসব সহিংসতা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
রয়টার্স বলছে, ইসমিরালডাস শহরে পুলিশের একটি ইউনিটের ওপর হামলা চালানো হয়, পেট্রল পাম্পে বোমা পুঁতে রাখা হয় এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
সরকার জানিয়েছে, ইকুয়েডরের কারাগারগুলোতে নিয়ন্ত্রণ ফিরে না আসা পর্যন্ত এবং বন্দি ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সামরিক হস্তক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন : পরিবেশ নষ্ট হলে দায় বিএনপির
প্রসঙ্গত, ২০২১ সাল থেকে ইকুয়েডরের কারাগারগুলোতে সহিংসতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তারপর থেকে একের পর এক সহিংসতায় এ পর্যন্ত কয়েকশ বন্দির মৃত্যু হয়েছে। এসব সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রেসিডেন্ট লাসো কারাগারগুলোতে নিয়মিত জরুরি অবস্থা জারি করে চলেছেন।
সান নিউজ/এমআর