সান নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার দখল করে নেওয়া ভূমি পুনরুদ্ধারের আগে মস্কোর সঙ্গে কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কাকে সহায়তার প্রস্তাব
তিনি দাবি করেছেন, এমন কিছু করা হলে তাতে কেবল যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে। শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন জেলেনস্কি। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আমাদের দেশে আগ্রাসন শুরুর পর রাশিয়া যেসব ভূমি দখল করেছে সেসব ভূমি বেদখলে রাখা অবস্থায় তাদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি হলে কেবল আরও বড় সংঘাতের সুযোগ তৈরি হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অত্যাধুনিক হিমার্স রকেট সিস্টেম নিয়েও কথা বলেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, পশ্চিমাদের সরবরাহ করা হিমার্স বস্তুগত পার্থক্য তৈরি করতে পারলেও স্রোত উল্টে দেওয়ার জন্য ইউক্রেনের আরও বেশি কিছু প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধবিরতির অর্থ রুশ বাহিনীকে বিশ্রামের সুযোগ দেওয়া।
আরও পড়ুন: চবিতে যৌন নিপীড়ন, গ্রেফতার ৪
জেলেনস্কি বলেন, শস্য রফতানি ফের শুরুর জন্য রাশিয়ার সঙ্গে সই হওয়া চুক্তির প্রতি ইঙ্গিত করে জেলেনস্কি বলেন, মস্কোকে কূটনৈতিক ছাড় দেওয়ায় বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হতে পারে, তবে ভবিষ্যতের জন্য এটা কেবল একটি অস্থায়ী অবকাশ এবং বুমেরাং হয়ে উঠতে পারে।
ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরের বন্দর দিয়ে শস্য রফতানি ফের চালু করতে শুক্রবার চুক্তি সই করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। ধারণা করা হচ্ছে এই চুক্তির ফলে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়তে থাকা খাদ্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল হয়ে আসতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
সান নিউজ/এনকে