আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া উত্তেজনার মধ্যে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা শহরের মধ্য দিয়ে যাওয়া একটি আন্তর্জাতিক তেল পাইপলাইন বিস্ফোরণে উড়ে গেছে।
ধ্রুঝবা (যার বাংলা অর্থ বন্ধুত্ব) নামে ওই পাইপলাইন দিয়ে রাশিয়া থেকে পূর্ব ও মধ্য ইউরোপের বিভিন্ন প্রান্তে তেল সরবরাহ করা হয়।
পশ্চিমা দেশগুলোর ক্রমাগত সতর্কবার্তার মধ্যেই ‘রহস্যজনক’ এ বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটলো। সংবাদ এএফপির।
রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএ নভোস্তি জানিয়েছে, শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ধ্রুঝবা পাইপলাইনের মস্কোপন্থি শহর লুহানস্ক অংশে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। ছবিতে পাইপলাইন থেকে আগুনের কুণ্ডলী ওপরে উঠতে দেখা গেছে।
যদিও বিস্ফোরণের কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে এতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের আশঙ্কা আরও বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।
রাশিয়ান সংবাদ মাধ্যম আরও জানিয়েছে, পাইপলাইনটিতে বিস্ফোরণের এক ঘণ্টার মধ্যে লুহানস্কে আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। এরও কোনো কারণেএখনো জানা যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লুহানস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হয়েছে, শহরের উপকণ্ঠে একটি পেট্রল স্টেশনে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটেছে। দুটি বিস্ফোরণেই এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি।
সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দুদিন ধরে ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলগুলোতে বিদ্রোহীদের সহিসতা হঠাৎ বেড়ে গেছে। উভয়পক্ষ থেকেই পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সরকারি বাহিনী গোলাবর্ষণসহ অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিদ্রোহীরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ইউক্রেন আক্রমণের জন্য যেকোনো ধরনের অজুহাত খুঁজছে রাশিয়া।
বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ইউক্রেনীয় সেনাদের নতুন সংঘর্ষকে মস্কো সামরিক অভিযানের সেই অজুহাত হিসেবে তুলে ধরতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলো থেকে লোকজন সরিয়ে নিতে শুরু করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
কিয়েভ সরকার তাদের বিরুদ্ধে যেকোনো সময় আক্রমণ চালাতে পারে অভিযোগ করে বেসামরিক নাগরিকদের রাশিয়ায় আশ্রয় নিতে বলেছেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘আগামী দিনে’ ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে হামলার পরিকল্পনা করছে রাশিয়া।
এ জন্য মস্কোকে উত্তেজনা কমানোর জন্য নতুন করে আহ্বান জানিয়েছেন বাইডেন। রাশিয়া যদি এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে অপ্রয়োজনীয় যুদ্ধের জন্য দায়ী হবে।
আরও পড়ুন: ১০ মার্চের পর বুলডোজার চলবে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা ধারণা করছি- ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি রাশিয়ার প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে।
গত ৩০ জানুয়ারি এ সেনা সংখ্যা ছিল প্রায় ১ লাখ। এর মধ্যে ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি আরও প্রায় ৯০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া।
সান নিউজ/ এইচএন