আন্তর্জাতিক

করোনা মোকাবেলায় পিছিয়ে বাংলাদেশ: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবেলায় নাগরিকদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৮টি গুরুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।

সম্প্রতি জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আটটি ক্ষেত্রে দেশগুলোর নেওয়া সুরক্ষামূলক ব্যবস্থার তুলনা করে এ প্রতিবেদনটি করা হয়েছে বলে সংস্থাটি জানায়।

এ অঞ্চলে কোভিড-১৯ মহামারির সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবের ওপর এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে এশিয়া–প্যাসিফিক ইকোনমিস্ট নেটওয়ার্ক নামের অর্থনীতিবিদদের একটি সংগঠন।

আটটি ক্ষেত্র বা সূচকগুলোর মধ্যে রয়েছে:

১। সুলভ স্বাস্থ্য সেবা বাড়ানোর পদক্ষেপ,

২। অসুস্থতাকালীন ছুটির সময় পর্যাপ্ত ভাতা ও সুবিধা,

৩। চাকরিচ্যুতি ঠেকানো এবং চাকরিহারা মানুষকে সহায়তা দেয়া,

৪। বয়স্ক, বেঁচে ফেরা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করা,

৫। নাগরিকদের আয়-সহায়তা জোগানো,

৬। পরিবারকে সেবা দেয়ার প্রয়োজনে ছুটি বা অন্য সুবিধার নীতি,

৭। কর এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতের প্রদেয় মেটানোর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দেয়া।

এ ছাড়া অন্যান্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেয়া তুলনামূলক চিত্রের ছকটি বলছে, বাংলাদেশ সরকার শুধু বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের ভাতা দেয়ার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিয়েছে। অবশ্য সেখানে এটাও বলা হয়েছে যে ছকে দেশগুলোর কোনো পদক্ষেপ বাদও পড়ে থাকতে পারে।

প্রতিবেদনের ছক অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি পদক্ষেপ নিয়েছে ফিলিপাইন, ইরান ও থাইল্যান্ড। এ দেশগুলো সাত ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।

ছয় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে চীন, সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়া। পাঁচ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে জাপান, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ভারত।

ভারত ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা চারটি এবং নেপাল ও পাকিস্তান তিনটি করে পদক্ষেপ নিয়েছে।

শেষের দুটি দেশ বাংলাদেশের চেয়ে বাড়তি হিসেবে নাগরিকদের জন্য আয়ের সহায়তা দিয়েছে। ভারত ও শ্রীলঙ্কা চাকরির সুরক্ষা দিয়েছে। ভারত প্রতিষ্ঠানের কর দেয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ব্যবস্থাও করেছে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিশ্বের তিন-চতুর্থাংশ শ্রমশক্তির জোগান দিচ্ছে। চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় রাষ্ট্রের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার সামর্থ্য অপেক্ষাকৃত বেশি।

তবে বাংলাদেশ, নেপাল ও দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর মাথাপিছু আয় তুলনামূলকভাবে কম। কোভিড-১৯–এর স্বাস্থ্যগত, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলা করার সামর্থ্যও তাদের কম।

প্রতিবেদন বলছে, সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়বেন ভাসমান শ্রমিক ও উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠী। আর বিপদে পড়বে অনানুষ্ঠানিক খাত। এই জনগোষ্ঠী অনানুষ্ঠানিক খাতের ওপরে নির্ভরশীল।

একটি রাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিকেরা ন্যূনতম যে স্বাস্থ্যসুবিধা ও সামাজিক নিরাপত্তা পায়, তারা তা পায় না। প্রতিবেদনটি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের কথাও উল্লেখ করেছে।

সান নিউজ/সালি

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

মোহিতলাল মজুমদার’র প্রয়াণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের...

শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, আমার বক্...

বিটিভি ভবন পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দ...

ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নিহত ৩০ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩০...

ভারতের কাছে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক : নারী এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারতের সঙ্গে ১...

৮ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টির আভাস 

নিজস্ব প্রতিবেদক: আবহাওয়া অফিস ৮ অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্...

পর্যটকশূন্য রাঙামাটি

জেলা প্রতিনিধি: কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনের জেরে দেশে সৃষ্ট...

হামলা থেকে বাঁচতে কারাগারে গাজাবাসী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের সেনাদের টানা কয়েকদিনের বোমার হা...

চট্টগ্রামে ১৪ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল

জেলা প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম জেলার আ...

আজ ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকাসহ ৪ জেলায়...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা