আন্তর্জাতিক

এবার গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ১০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: টানা ষষ্ঠ দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বোমা হামলা। এর মাঝেই শনিবার ভোরের দিকে এই উপত্যকার একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন; যাদের আটজনই শিশু।

ইসরায়েলের টানা হামলায় শনিবারও উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে মরদেহ বের করে আনতে কাজ করে যাচ্ছেন। যে কারণে হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে, হামলার জবাবে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আসকহেলন এবং আশদুদে কয়েক ডজন রকেট নিক্ষেপ করেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

গত সোমবার থেকে গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪০ শিশু-সহ ১৩৯ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া এতে আহত হয়েছেন আরও ৯৫০ জন। গাজায় বোমা হামলা এবং ইসরায়েলি দখলদারিত্বের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন পশ্চিম তীরের হাজার হাজার বাসিন্দা।

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে ১৩ নিরীহ ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। এছাড়া পূর্ব জেরুজালেমেও শনিবার রাতে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে।

চলমান এই হামলা-পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত ৮ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তেল আবিব। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকা লক্ষ্য করে গাজা থেকে শত শত রকেট ছোড়া হয়েছে। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার পূর্বাঞ্চলে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকায় গাজার উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলের বোমা হামলা ও গোলাবারুদ থেকে বাঁচতে গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি পরিবারসহ আশ্রয় নিয়েছেন।

জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান হামলার মখে গাজার প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়েছেন। ইহুদিবাদী রাষ্ট্র সৃষ্টির লক্ষ্যে গত ৭৩ বছর ধরে ফিলিস্তিনে জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। অবৈধ ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার ৭৩তম বার্ষিকীতে আজ শনিবার নাকাবা (বিপর্যয়) দিবস পালন করছেন ফিলিস্তিনিরা।

সূত্র: আলজাজিরা, রয়টার্স।

সাননিউজ/এএসএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

কোচিং সেন্টারে মিলল বিপুল অস্ত্র-বিস্ফোরক

রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় একটি বাড়ি থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরি সরঞ্জাম...

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন ও মামলা বাতিলের আবেদনের শুনানি পেছাল

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম হত্য...

কোনো চাঁদাবাজকে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কোনো চাঁদাবাজকে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র...

‘গোপন রাজনীতি’, ছাত্রশিবির ও ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্টরুম সংস্কৃতি এবং এই কেন্দ্রিক নির্যাতন গত ১৫ বছরে ছি...

ফের ৯৮ বাংলাদেশিকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

ফের কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে ৯৮ বাংলাদেশিকে। বিম...

চিকিৎসক নেতা নারায়ণ হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বা...

ভরাডুবির ভয়ে কিছু খুচরা পার্টি নির্বাচন চাচ্ছে না: দুদু

নির্বাচন হলে যাদের ভরাডুবি হবে তারাই নির্বাচন চাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বি...

রিকশাচালককে কীসের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার, ধানমন্ডি থানার ওসির ব্যাখ্যা তলব

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ থেকে রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে কীসের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার ক...

প্রধান উপদেষ্টা নিজে ক্লিয়ার করেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে: রিজওয়ানা

নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা...

জুলাই সনদে ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ অবস্থান অস্পষ্ট: ডেভিড বার্গম্যান

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদের সমন্বিত খসড়া পাঠিয়...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা