আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে একটি রহস্যময় রোগে ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো এই অসুস্থতার কারণ খুঁজে পাইনি দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন : ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
রোগটির প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে কঙ্গোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোয়াঙ্গো প্রদেশের পানজি অঞ্চল। গত ১০ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বরের মধ্যে যারা মারা গেছেন তাদের এই রেকর্ডের মধ্যে রাখা হয়েছে। তবে এই রোগের প্রথম রিপোর্ট সম্ভবত অক্টোবরের শেষের দিকে পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার সহকারী প্রাদেশিক গভর্নর রেমি সাকি অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে (এপি) জানান, ‘ওই সময়ের মধ্যে রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ৬৭ থেকে ১৪৩ জন মানুষের মৃত্যু ঘটেছে।’
আরও পড়ুন : পাকিস্তান থেকে চিনি কিনল বাংলাদেশ
প্রাদেশিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাপোলিনায়ার ইয়াম্বা রোগটির বিভিন্ন উপসর্গের মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, কাশি এবং রক্তশূন্যতার কথা উল্লেখ করেছেন। মৃত্যুর আগে এই উপসর্গগুলো দেখা গেছে।
জনগণকে সতর্কতা অবলম্বনেরও পরামর্শ দিয়েছেন ইয়াম্বা। সংক্রমণ এড়াতে তিনি মৃতদেহের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। পাশাপাশি তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের এই স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানোরও আহ্বান জানিয়েছেন।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো- রোগটিতে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই ১৫ বছরের বেশি বয়সী কিশোর-কিশোরী। সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে এমনটি অস্বাভাবিক। কারণ সাধারণত খুব ছোট কিংবা বয়স্ক মানুষেরাই সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
সান নিউজ/এমআর