সজিনা গাছ
ফিচার

ভালুকায় সাদা ফুলের বর্ণিল সাজে সেজেছে সজিনা

সাজ্জাদুল আলম খান, ভালুকা (ময়মনসিংহ): সাদা ফুলের বর্ণিল সাজে সেজেছে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার সজিনা গাছগুলো। প্রকৃতি সেজেছে যেন তাঁর আপন মহিমায়।

আরও পড়ুন: ভালুকায় বঙ্গবন্ধু’র ১০২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

ষড়ঋতুর দেশ আমাদের এ বাংলাদেশ। সুজলা সুফলা, শস্য শ্যামল ভরা আমাদের এ বাংলাদেশের একেকটি ঋতুর একেক রুপে ও রঙ নিয়ে হাজির হয়। ঠিক তেমনি ভালুকা উপজেলার বাড়ির আনাচে-কানাচে ও রাস্তার পাশে থাকা সজিনার গাছগুলোতে থোকায় থোকায় সাদা সাদা ফুলে ভরে উঠেছে। সজিনা ফুলে মৌ মৌ করছে চারপাশ। সজিনা গাছের ডালের গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত ফুল আর ফুল। এ সময় সজিনা গাছের পাতা ঝরে পড়ে। তাই পাতা শুন্য ডালে থোকা থোকা সাদা ফুলের শোভা দেখে সকলেই মহিত হয়।

এ গাছের পাতা, ফুল, ফল, ব্যাকল ও শিকড় সবই মানুষের উপকারে আসে। সজিনার পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। এ গাছের অনেক গুন থাকায়, এ গাছকে যাদুর গাছ বলা হয়। কাঁচা সবুজ পাতা রান্না করে, ভর্তা করে ও বড়া ভেজে সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। এর ফল সবজির মতো রান্না করে খাওয়া যায়, ফল পাকলে সে সব ফলের বীজ বাদামের মতো ভেজে খাওয়া যায়।

প্রতি বাড়িতে কমপক্ষে ২ থেকে ৩টি গাছ রয়েছে। এসব গাছ বাড়ির পাশে ও ক্ষেতের আইলে লাগানো হয়। গাছে ফলনও বেশি হয়। যত্ন ছাড়াই এসব গাছ বেড়ে উঠেছে। বাংলাদেশে ২টি জাত আছে সজিনা ও নজিনা। সজিনার ফুল আসে জানুয়ারিতে আর নজিনা ফুল আসে মার্চ মাস থেকে। তবে সব ফুল থেকে ফল হয় না। একটি থোকায় সর্বাধিক ১৫০টির মত ফুল ধরে। ফুল ৪০ সেমি. থেকে ৮০ সেমি. পর্যন্ত লম্বা হয়। ফুল ফোটার ২ মাস পর ফল তোলা যায়। একটি বড় গাছে ৪০০ থেকে ৫০০ ফল ধরে। প্রতিটি ফলে ৩০ থেকে ৪০টি বীজ হয়। দেশে সাধারণ ডাল কেটে ডাল রোপন করলে সজিনা গাছ তৈরি হয়। সজিনা চাষিরা উচ্চ মূল্য পাওয়ায় সজনের ডাল রোপন করতে উৎসাহিত হয়। বসতবাড়ির আশে পাশে রাস্তার ধারে ক্ষেতের আইলে লাগানো সজিনা গাছ যত্ন ছাড়াই অবহেলার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে। সজিনা পুষ্টি ও ভেজষ গুন সম্পন্ন হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি। সজিনার ব্যাপক চাহিদা থাকায় এ সবজিটি বাজারে মৌসুমের শুরুর দিকে উচ্চ মূল্যে বিক্রি হয়।

আরও পড়ুন: নীলফামারীতে বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল চিতা বাঘের

ভালুকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জেসমিন জাহান বলেন, অলৌকিক গাছ সজিনা। ঠান্ডা-গরম, লবণ, খরা সহিষ্ণু পরিবেশে এ গাছ বাংলাদেশের সর্বত্রই জন্ম নেয়। এ উপজেলার মাটিতে সজিনা আবাদ ভালো হচ্ছে। উপজেলার প্রতি বাড়িতে কমবেশি ২ থেকে ৩টি করে সজিনা গাছ আছে। এ বছর সজিনা গাছে ব্যাপক ফুল ধরেছে। দিন দিন পরিত্যক্ত জায়গায় সজিনা গাছ তৈরির আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলায় সজিনা গাছের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কৃষকরা সজনের উচ্চ মূল্য পাওয়ায় তারা লাভবানও হচ্ছে।

সান নিউজ/এনকে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে হাতিয়াতে উঠান বৈঠক

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষ...

বিশ্ব প্রবীণ দিবসে “বৃদ্ধাশ্রম/ প্রবীণ সেবা ঘর”

১ অক্টোবর ২০২৫ -এ উদ্বোধন হলো নতুন “বৃদ্ধাশ্রম/ প্রবীণ সেবা ঘর” ।...

বাগেরহাটের কলা

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। জমিতে বসেই কলার দাম ভালো পাওয়ায়...

ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ইসলাম...

বাগেরহাটের কলার বাম্পার ফলন

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। জমিতে বসেই কলার দাম ভালো পাওয়ায়...

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে হাতিয়াতে উঠান বৈঠক

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষ...

বিশ্ব প্রবীণ দিবসে “বৃদ্ধাশ্রম/ প্রবীণ সেবা ঘর”

১ অক্টোবর ২০২৫ -এ উদ্বোধন হলো নতুন “বৃদ্ধাশ্রম/ প্রবীণ সেবা ঘর” ।...

উলিপুরে অম্বিকাচরণ রায় শিক্ষাবৃত্তি প্রদান 

কুড়িগ্রামের উলিপুরে অম্বিকাচরণ রায় শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (২৯...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা