নিজস্ব প্রতিবেদক: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) র্যাগি ও পরীক্ষায় নকলসহ নানা অভিযোগে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : স্নাতক ১ম বর্ষের পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব ও প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বোর্ডের ৬২তম সভায় বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি জানান, সাময়িক বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের অনেকেই পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করা। ভূমি ব্যবস্থাপনা আইন, পদার্থবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, রসায়নসহভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন, পদার্থবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান এবং রসায়নসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীকে নকল করায় কারও এক সেমিস্টার, কারও দুই সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ১৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ২ শিক্ষক প্রত্যাহার
তাছাড়া গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এ দুই শিক্ষার্থীর ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
অন্যদিকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আশিকুল ইসলাম নামে এক ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়নবিরোধী সেলে তদন্তের জন্য তাকে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান ইউজিসির
ড. মোস্তফা কামাল বলেন, বহিষ্কার শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই পরীক্ষায় নকলের জন্য। কারও এক সেমিস্টার, কারও দুই সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেকের কাছে নকল পাওয়া গেছে, কিন্তু নকল করেনি এমন যারা আছে, তাদের কোর্স বাতিল করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কারও কাছে নকল পাওয়া গেলে আর সে যদি নকল না করে থাকে, তা হলে কোর্স পরীক্ষা বাতিল করা হয়। কেউ নকল করলে এক সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন : রুয়েটে ক্লাস শুরু ৩০ সেপ্টেম্বর
আর যদি খাতা নেওয়ার সময় শিক্ষার্থী বাধা দেয় তা হলে দুই সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়। অপরাধের বিভিন্ন ধরন দেখে বহিষ্কার করা হয়। তবে অপরাধ ছোট হলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের দিকটি আমরা দেখি। আর অভিযোগ প্রমাণিত হলে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
সান নিউজ/এমএ