যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডস (কিউএস) জরিপে ২০২৬ সালের জন্য বিশ্বসেরা দেড় হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে বাংলাদেশের ১৫টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে; তার মধ্যে সবার ওপরে অবস্থান করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।
র্যাঙ্কিংয়ে ঢাবির অবস্থান ৫৮৪তম। ৬০০তম এর মধ্যে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অর্জিত বিভিন্ন সূচক প্রকাশ করেছে কিউএস। সেই হিসেবে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শুধু ঢাবির পূর্ণাঙ্গ সূচক উঠে এসেছে কিউএসের র্যাঙ্কিং প্রতিবেদনে। তাতে দেখা গেছে, ৯টি সূচকের মধ্যে তিনটিতে ঢাবির কোনো অর্জন নেই। বাকি ছয়টির অনেকগুলোতে ভালো অর্জন রয়েছে দেশের সর্বোচ্চ এ বিশ্ববিদ্যালয়টির। এ কারণে তালিকায় পিছিয়ে পড়েছে ঢাবি।
কোন সূচকে ঢাবির কত অর্জন
কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে ৯টি সূচকে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক মান নিরূপণ করা হয়। প্রতিটি সূচকে ১০০ করে স্কোর থাকে। সব সূচকের যোগফলের গড়ের ভিত্তিতে সামগ্রিক স্কোর নির্ধারিত হয়।
র্যাঙ্কিংয়ের সূচকগুলো হলো- গবেষণা ও আবিষ্কার, শিখন অভিজ্ঞতা, কর্মসংস্থান, বৈশ্বিক সম্পৃক্ততা, স্থায়িত্ব, ইন্টারন্যাশনাল ফি ও স্কলারশিপ, স্টুন্ডেট মিক্স, ইংলিংশ টেস্ট এবং অ্যাকাডেমিক টেস্ট। প্রকাশিত র্যাংঙ্কিংয়ের ৯টি সূচকের পৃথক অর্জন করে গড় করে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামগ্রিক স্কোর হয়েছে ২৮ দশমিক ৭০ শতাংশ।
গবেষণা ও আবিষ্কার সূচকে ঢাবি অ্যাকাডেমিক খ্যাতিতে ৩০ দশমিক ৫০ ও শিক্ষকপ্রতি গবেষণা উদ্ধৃতিতে ৬ দশমিক ৯০ অর্জন করেছে। শিখন অভিজ্ঞতার সূচকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে ১০ দশমিক ৫০ পেয়েছে।
কর্মসংস্থান সূচকে কর্মসংস্থানের ফলাফলে ৯৭ ও চাকরির বাজারে সুনামে ৫১ দশমিক ৩০। আর স্থায়িত্ব সূচকে বিশ্ববিদ্যালয়টির অর্জন ৫৪ দশমিক ২০।
বৈশ্বিক সম্পৃক্ততা সূচকে আন্তর্জাতিক শিক্ষক অনুপাত ২ দশমিক ২০, আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্কে ৫৭ দশমিক ৮০, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অনুপাতে ১ দশমিক ৪০ এবং আন্তর্জাতিক ছাত্র বৈচিত্র্যে ১ দশমিক ৩০ স্কোর করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ইন্টারন্যাশনাল ফি ও স্কলারশিপ, ইংলিশ টেস্ট এবং অ্যাকাডেমিক টেস্ট সূচকে কোনো অর্জন নেই ঢাবির। স্টুন্ডেট মিক্স সূচকে দেশীয় ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ স্কোর থাকলেও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শূন্য।
র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা পাওয়া দেশের বাকি ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনোটিরই সামগ্রিক স্কোর উল্লেখ করেননি কিউএস। তাদের অবস্থান যথাক্রমে নর্থ সাউথ ৯৫১-১০০০তম, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ৭৬১-৭৭০তম, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ১০০১-১২০০তম।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান একই ক্যাটাগরিতে। এ চারটি বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় ১২০১-১৪০০তম এর মধ্যে রয়েছে।
বাকি সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় ১৪০০তম এর ওপরে স্থান পেয়েছে। সেগুলো হলো- আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এআইইউবি), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)।
সাননিউজ/ইউকে