নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্প্রতি সারাদেশে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা। এরই অংশ হিসেবে রোববার রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন সাধারণ ছাত্র ও জনতা। এ সময় তাদের মধ্যে একটি অংশ পুলিশের সামনে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানে মাতিয়ে তুলেছে।
আরও পড়ুন: যারা নাশকতা করছে তারা কেউই ছাত্র নয়
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ২টায় এই দৃশ্য দেখা যায়।
এদিকে শাহবাগ থানার গেটের সামনে অবস্থান করছেন অসংখ্য অস্ত্র সজ্জিত পুলিশ সদস্য ও আর্মড পার্সোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি)। এই সময় টিএসসির দিক থেকে আরও একটি মিছিল আসে শাহবাগে। এই মিছিলটি থানার সামনে পৌঁছার সাথে সাথে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান ওঠে। এমত অবস্থায় পুলিশকে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
তার আগে দুপুর ১২টার পর থেকে রাজধানীর শাহবাগ চত্বরের দিকে আসতে থাকে আন্দোলনকারীদের খন্ড খন্ড মিছিল। অপরদিকে মিন্টো রোডের আগে হোটেল শেরাটন পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে কিছু দুর্বৃত্তরা। এদিকে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার পরেই মিন্টো রোডে একাধিক মন্ত্রী ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) বাসভবনের নিরাপত্তায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এরপর মিন্টো রোডে অবস্থান করা পুলিশি ব্যারিকেড দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করেননি
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া জানান, রাজধানীর মিন্টো রোডে নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ সময় মিন্টো রোডে আন্দোলনকারীরা যাতে না আসতে পারে, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে দেখা যায়, আন্দোলনকারীদের মিছিল দুপুর পৌনে ১ টার দিকে শাহবাগ-হোটেল শেরাটন পেরিয়ে মিন্টো রোডের দিকে চলে আসে। এ সময় তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন।
এর আগে সকাল ১১টায় শাহবাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে শাহবাগে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় আন্দোলন চলাকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভেতরে থাকা অন্তত ৫০টি গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
সান নিউজ/এমএইচ