জেলা প্রতিনিধি: খুলনায় তেল বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধি বাস্তাবায়নের দাবিতে ৩ ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করছে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে তীব্র যানজট
রোববার (১ অক্টোবর) সকাল ৮ টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু করে তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। ফলে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলনা বিভাগীয় জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, জ্বালানি তেল বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছি। দাবির প্রেক্ষিতে কমিশন বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি।
আরও পড়ুন: সরকার প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল
তিনি আরও বলেন, গেজেটে প্রচুর ভুল রয়েছে। শুধু গেজেট প্রকাশ নয়, দাবির বাস্তবায়ন করতে হবে। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ডিজেলের ২ ভাগ, পেট্রোলের ৩ ভাগ ও অকটেনের ৪ ভাগ কমিশন বাড়িয়ে সাড়ে ৭ ভাগ করতে হবে। সেই সাথে তাদের শিল্প থেকে বাদ দিয়ে কমিশন এজেন্ট ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি পুরাতন ট্যাংক লরি অবসরের সময় ২৫ বছর থেকে বাড়াতে হবে।
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে তেল উত্তোলন বন্ধ করেছিলেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। এরপর সরকারের আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন তারা।
আরও পড়ুন: গত ২ নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের চাপ পড়েছে
এর প্রেক্ষিতে গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় কমিশন বাড়িয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, প্রতি ১০০ টাকার অকটেন বিক্রিতে পাম্প মালিকরা ৪ টাকা ২৮ পয়সা, পেট্রোলে ৪ টাকা ৩৪ পয়সা, কেরোসিনে ২ টাকা ও ডিজেলে ২ টাকা ৮৫ পয়সা কমিশন পাবেন। আগে ডিজেলের ২ শতাংশ, পেট্রোলের ৩ শতাংশ ও অকটেনের ৪ শতাংশ কমিশন ছিল।
সান নিউজ/এনজে