জেলা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার বাঘাডাঙ্গায় বাবার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মর্জিনা খাতুন (৪০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নিহত মর্জিনার মেয়ে রেকসোনা খাতুন (১৩) ঠেকাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে নানা আজিলুল হক।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের সমাবেশ
রোববার (১ অক্টোবর) ভোর ৩টার দিকে আহত অবস্থায় মা ও মেয়েকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানকার চিকিৎসক মর্জিনা খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন।
দামুড়হুদা থানাধীন কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মর্জিনার ভাগনে হুসাইন বলেন, আমার খালা তার বাবার সাথে থাকতেন। কিছুদিন আগে খালা ও তার বাবা বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে ঘরবাড়ি মেরামত করেন। শনিবার সন্ধ্যায় কিস্তির টাকা দেওয়া নিয়ে ২ জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। নানা খালাকে কিস্তি দিতে বলেন। খালা জানান, ‘আমি উপার্জন করি না কীভাবে পরিশোধ করব?’ এরই জেরে রাত ১টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় মেয়েকে কুপিয়ে বাড়ির মধ্যে একটি গর্তের মধ্যে ফেলে রাখেন। খালার চিৎকারে রেকসোনা ছুটে এলে তাকেও জখম করে। পরে আমরা দুজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক খালাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ফ্ল্যাট থেকে ৩ গলাকাটা লাশ উদ্ধার
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মৃত অবস্থায় মর্জিনাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এ ছাড়াও রেকসোনার ২ হাতে অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি, পারিবারিক কলহের জেরে বাবার ধারাল অস্ত্রের কোপে মেয়ে মর্জিনা ও নাতনি রেকসোনা গুরুতর জখম হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মর্জিনা মারা যায়। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।
সান নিউজ/এএ