জেলা প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬ টায় কাউনিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে রেকর্ড করা হয়। এ সময় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছেন, পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪ বিভাগে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
স্থানীয়রা বলেন, পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে লালমনিরহাটের ৫ টি উপজেলার তিস্তা নদীর চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি নেমে যেতে না যেতেই আবারও বন্যার আশঙ্কায় আতংকিত হয়ে পড়েছেন তারা।
এ নিয়ে ১০ বারের মতো বন্যার কবলে পড়ছেন তিস্তাপাড়ের চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের মানুষ।
আরও পড়ুন: আজ ঢাকার বায়ু সহনীয়
পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী এবং কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী পরিবারগুলো আবারও পানিবন্দি হতে শুরু করেছে। বিগত বন্যায় এসব অঞ্চলে শুরু হওয়া ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে বলে দাবি করছে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: দেশে নদ-নদী আছে ১০০৮টি
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা জানিয়েছেন, তিস্তার পানি প্রবাহ কাউনিয়াতে বেশি থাকলেও ডালিয়া পয়েন্টে কম রয়েছে। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির ফলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টি কমে গেলে তিস্তার পানি কমতে শুরু করবে। তাই এ নিয়ে চলাঞ্চলের মানুষের দুশ্চিন্তার কারণ নেই।
সান নিউজ/এনজে