সারাদেশ

সুন্দরবনে বাড়ছে পর্যটন কেন্দ্র

এস এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট : প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ হিসেবে সুখ্যাত সুন্দরবনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ দিন দিন বাড়ছে। প্রতি বছরই বনের সৌন্দর্য উপভোগে পর্যটকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভরা এই পর্যটক মৌসুমে সুন্দরবনের সৌন্দর্য দেখে অভিভূত হচ্ছেন পর্যটকরা। বছর জুড়ে সুন্দরবনে পর্যটকদের আসা-যাওয়া থাকলেও এই মুহূর্তে পর্যটকদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন : আমরা ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করি না

বন বিভাগ বলছে, সুন্দরবন সবসময়ই পর্যটক আকর্ষণ করে। বছরে প্রায় দুই লাখ পর্যটক ভ্রমণ করে, যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। শীত মৌসুমে বেশি পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণে যায়। বনের একই স্থানে পর্যটকের চাপ কমাতে এবার বাড়ানো হচ্ছে পর্যটন কেন্দ্র। সম্ভাবনাময় পর্যটন খাতকে জাগিয়ে তুলতে পারলেই অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ অনেক শক্তিশালী হবে। উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে এ খাতে আমাদের গুরুত্ব বা নজর দিতে হবে। আর বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পারলে এ খাতে রাজস্ব অনেক বাড়বে। সুন্দরবনের কিছু মনোমুগ্ধকর স্থান রয়েছে। যেখানে না গেলে আপনার সুন্দরবন যাওয়া সার্থক হবে না। যেমন হিরণ পয়েন্ট, দুবলার চর, শরণখোলা, ছালকাটা, টাইগার পয়েন্ট টাওয়ার, টাইগার পয়েন্ট সি বিচ, জামতলা সি বিচ, সাত নদীর মুখ, কালীরচর উল্লেখযোগ্য।

করমজল, হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, দুবলার চর, হিরণ পয়েন্ট (নীল কমল), কলাগাছী, কাগা দোবেকীতে আটটি পর্যটন কেন্দ্রর পাশাপাশি সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের আওতাধীন খুলনা রেঞ্জের শেখেরটেক ও কালাবগী; পূর্ব বন বিভাগের আওতাধীন শরণখোলা রেঞ্জের আলীবান্ধা এবং চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিকে এ বছর থেকে চালু হচ্ছে আরো নতুন চারটি পর্যটন কেন্দ্র।

আরও পড়ুন : পা‌নি‌তে পড়ে ভাই-বোনের মৃত্যু

বন বিভাগ বলছে, ২০২১ সালে ২৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরে নতুন চারটি পর্যটন কেন্দ্রের কাজ শুরু হয়, যা এখনো চলমান। এ বছর পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে কালাবগী ও আন্ধারমানিক কেন্দ্র দুটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। অন্য দুটির কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে।

খুলনা অঞ্চলের প্রধান বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, ‘পর্যটক বাড়ায় এবং বনের জীববৈচিত্র্য ও সার্বিক পরিবেশ সুরক্ষায় খুলনা রেঞ্জের শেখেরটেক ও কালাবগী, শরণখোলা রেঞ্জের আলীবান্ধা ও চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিকে নতুন চারটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পর্যটন কেন্দ্রের কাজ শেষ হয়ে যাবে। যদিও কাজ শেষ হওয়ার আগেই দুটি কেন্দ্রে পর্যটক যাওয়া শুরু করেছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই হয়তো শেখেরটেক ও আলীবান্ধা কেন্দ্র দুটি উন্মুক্ত করে দেয়া যাবে। নতুন পর্যটন কেন্দ্রগুলো পর্যটকের কাছে আকর্ষণীয় হবে। এতে পর্যটকরা এক জায়গায় ভিড় না করে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে সুন্দরবন দেখার সুযোগ পাবে।’

আরও পড়ুন : টানা ৩ দিনের ছুটি

বন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একসময় সুন্দরবন থেকে বিভিন্ন ধরনের কাঠ, মাছ, কাঁকড়া, গোলপাতা, মধুসহ ১২ ধরনের খাত থেকে রাজস্ব আহরণ করা হতো। ১৯৮৯ সালে আইন করে গেওয়া, গরান ছাড়া সব ধরনের গাছ কাটা বন্ধ করা হয়। ২০০৭ সালে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় সিডর ও ২০০৯ সালে আইলার পর গেওয়া ও গরান আহরণও বন্ধ করে দেয় বন বিভাগ। বর্তমানে শুধু মাছ, কাঁকড়া, গোলপাতা, মধু ও পর্যটন থেকে রাজস্ব আহরণ করা হচ্ছে।

সান নিউজ/এমআর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

নোয়াখালীতে ভূমি দুস্যুর বিরুদ্ধে মানববন্ধন 

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম...

ফসলের ক্ষতি করে চলছে অবৈধ ব্যাটারি ইন্ডাস্ট্রি

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর):

গরমে বারবার গোসল করা কি ক্ষতিকর?

লাইফস্টাইল ডেস্ক: বৈশাখের শুরু থে...

আজ শেরে বাংলার ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ অবিভক্ত বাংল...

খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

বঙ্গোপসাগর থেকে ভেসে এসেছে টর্পেডো 

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালী জে...

ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইসলামী ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক : যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান...

শেখ জামালের জন্মদিনে যুবলীগের শ্রদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্...

হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু

নাসিরনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগরে হিট স্ট্রোকে যু...

বায়ুদূষণে আজ ঢাকা সপ্তম

নিজস্ব প্রতিবেদক: বায়ুদূষণে বিশ্ব...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা