খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে শরিফুল ইসলাম এর বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও অক্ষত রয়েছে পবিত্র কোরআন শরীফ।
আরও পড়ুন: নেত্রীর উদারতা বিএনপি বোঝে না
সোমবার (১৫) আগষ্ট উপজেলার চর ভরুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়ে সব পুড়ে গেলেও পবিত্র কোরআন শরীফ সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইজিপি জেনে শুনেই যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন
অন্যান্য জিনিসপত্র কয়লা হয়ে গেলেও আগুনের লেলিহান শিখা কোরআন শরীফের একটি অক্ষরও স্পর্শ করেনি। আগুনে কোরআন শরীফের সাদা অংশ কিছুটা কালচে দাগ হয়েছে। অক্ষত পাওয়া পবিত্র কোরআন শরীফটি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।
স্থানীয় এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী বলেন, আল্লাহপাক পবিত্র কোরআন শরীফ নাজিল করেছেন। তিনিই তার পবিত্র গ্রন্থ হেফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন। এ ঘটনাই তার উজ্জল দৃষ্টান্ত। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান ওই শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন:
স্হানীয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব বলেন, আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআন শরীফ নাজিল করেছেন। তিনিই তার রক্ষাকারী। মানুষের ঈমান আমল নষ্ট হতে চলেছে। এখনই আল্লাহর দেয়া বিধান মেনে চলে ঈমান আমলকে মজবুত করা প্রয়োজন।
ক্ষতিগ্রস্ত শরিফুল ইসলাম বলেন, রান্না ঘর থেকে হঠাৎ ধোঁয়া বের হতে থাকে। মুহূর্তেই পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘরে থাকা ৫ মণ পাট, ১০ মণ ধান ও নগদ টাকাসহ ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়
ভূঞাপুর থানার এস আই ফাহিম ফয়সাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘরে থাকা সবকিছু পুড়ে ছাই হলেও অক্ষত থাকে পবিত্র কোরআন শরীফ। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘর থেকে কোরআন শরীফটি বের করে আনেন।
ভূঞাপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ঘটনায় ২ লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছি। রান্না ঘর থেকে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল।
সান নিউজ/এমআর