বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও: আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন'র সুপারিশ আলোকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের শিংপাড়া এলাকায় একটি খাস জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প স্থাপনের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ৫ লাখ
প্রাথমিকভাবে সেখানে গাছ কর্তনের কাজ চলছে।কিন্তু স্থানীয়দের দাবি সেসব গাছ সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় লাগানো হলেও সুবিধাভোগীদের না জানিয়ে এসব করা হচ্ছে। তাই সুবিধাভোগীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বুধবার ( ১১ মে ) উপজেলা প্রশাসনের চিঠি নিয়ে এক ঠিকাদারের লোকজন সেই কবরস্থানে স্থানীয়দের রোপণকৃত দশলাখ টাকার অধিক মূল্যমানের গাছ কাটা শুরু করে। এ অবস্থায় গাছ রোপণকারী লোকজনের সঙ্গে ঠিকাদারের মারমুখী অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের আশ্বাসে পরিস্থিতি সাময়িক শান্ত হলেও এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সালন্দর ইউনিয়নের শিংপাড়া কবরস্থান উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আফাজ উদ্দিন জানান, শিংপাড়া গোরস্থানটি ২.৮৭ শতক জমির উপর স্থাপিত। এটি অনেক পুরাতন ঐতিহ্যবাহী। এ গোরস্থানটির জমি খাস ক্ষতিয়ান ভুক্ত ।
সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রশাসন এই কবরস্থানের জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। এলাকাবাসীর দাবির মুখে সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন ও জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান কবরস্থান বাদ দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের সুপারিশ করেন।
এদিকে বুধবার একজন ঠিকাদার সেই কবরস্থানে স্থানীয়দের রোপনকৃত দশ লাখ টাকা মূল্যমানের গাছ কাটা শুরু করে। এ অবস্থায় ঠিকাদার ও স্থানীয়দের মধ্যে মারমুখী অবস্থার সৃষ্টি হয়। এসময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে এলাহী মুকুট চৌধুরীর আশ্বাসে পরিস্থিতি সাময়িক শান্ত হয়।
আফাজ উদ্দিন আরও জানান, কবরস্থানের উন্নয়নের জন্য সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় ২০০২ সালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাথে নন-জুডিয়াশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তি সম্পাদন করে কবরস্থান উন্নয়ন কমিটি ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির দুই হাজার গাছ রোপণ করে। এদিকে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় ঠিকাদার গাছ কর্তন কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ সামুসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, এলাকাবাসীর দাবির মুখে খাস জমিটিতে কবরস্থানের পরিবর্তে আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। খাস জমির মালিক যেহেতু সরকার সেহেতু সেখানে দণ্ডায়মান গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সাননিউজ/এমআরএস