রংপুর প্রতিনিধি: রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১০ তলাবিশিষ্ট অত্যাধুনিক রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তর কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রংপুর বিভাগ প্রতিষ্ঠার ৬ বছর পর ২০১৬ সালে ১০ তলা বিশিষ্ট রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এজন্য ৭৬ কোটি টাকা ব্যায়ে ‘রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তর’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
পরে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সংশোধিত ব্যায় ধরা হয় ৯২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। গুণগত মান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ে ভবন নির্মাণের পর বেঁচে যাওয়া আড়াই কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয় গণপূর্ত অধিদফতর।
ভবন নির্মাণ সূত্রে জানা যায়, একনেকে প্রকল্পটি পাস হওয়ার পর ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে গণপূর্ত অধিদপ্তর উত্তম হাজীরহাটে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে ১৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে। পরে সেখানেই রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তর নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২১ সালের জুন মাসে বিভাগীয় সদর দপ্তরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
১০ তলা ভবনে ৭২০ আসনের ২ তলা মাল্টিপারপাস হলরুম, ৮০০ কেভিএ ক্ষমতা সম্পন্ন সাবস্টেশন ভবন, ৫০০ কেভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর, পাম্প হাউস, ৫০ হাজার গ্যালন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন জলাধার, ৪০ হাজার গ্যালন ক্ষমতাসম্পন্ন ফায়ার জলাধার, গার্ডসেড ও গেট, বাউন্ডারি ওয়াল, আরসিসি রাস্তা, কম্পাউন্ড ড্রেন, মাটি ভরাট, আরবি কালচার, বহিঃস্থ বিদ্যুতায়ন, বহিঃস্থ পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা রয়েছে।
এছাড়া ভবনটিতে ব্যাংক, পোস্ট অফিস, ক্যান্টিন, রান্নাঘর, সিকিউরিটি রুম, এসিল্যান্ড অফিস, ট্রেনিং রুম, ক্লাস রুম, ক্যাফে কর্নার, লাইব্রেরি, আর্কাইভ, মিটিং রুম, ৩টি প্যাসেঞ্জার ও একটি ফায়ার লিফট, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, সোলার সিস্টেম, সিসিটিভি সিস্টেম, সার্ভার সিস্টেম, সাবমারসিবল ও সেন্ট্রিফিউগাল পাম্প রয়েছে।
এখানে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়সহ ডিআইজি রংপুর রেঞ্জ, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, উপ-ভূমি সংস্কার কমিশনার ও বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড, যুগ্ম নিবন্ধক, বিভাগীয় সমবায় ও বিভাগীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়, ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব অ্যাকাউন্টসের কার্যালয় আছে।
সাননিউজ/জেএস