নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদারীপুর জেলার শিবচর থেকে অপহরণের দু’দিন পর নির্মাণাধীন একটি টয়লেটের মেঝের নিচ থেকে কুতুবউদ্দিন নামে দুই বছরের একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায় একটি নির্মাণাধীন টয়লেটের মধ্যে মাটি চাপা দেওয়া ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নির্মম এ হত্যাকান্ডে ওই শিশুর চাচি নার্গিস আক্তার (৩৫) ও চাচাতো বোন হাফসাকে (১৪) আটক করেছে শিবচর থানা পুলিশ।
আড়াই বছর বয়সী কুতুবউদ্দিন শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাংলাবাজার ঘাট সংলগ্ন বাগিয়া গ্রামের ইসমাইল বেপারীর ছেলে।
পারিবারিক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছর আগে নার্গিস আক্তারের স্বামী আবুল হোসেন বেপারী মারা যান। এর কয়েক বছর পর থেকে নার্গিস আক্তার তার মেয়ে হাফসা ও এক ছেলেকে নিয়ে তার বাবার বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা গ্রামে থাকেন। গত কয়েক দিন ধরে তাদের বাড়ির জমিজমা ভাগাভাগি নিয়ে তার দেবর ও ভাশুরদের সাথে দ্বন্দ্ব চলছিলো। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ওহাব বেপারির বাড়িতে বেড়াতে আসে নার্গিস আক্তারের মেয়ে হাফসা আক্তার (১৪)। পরদিন বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চলে যাওয়ার আগে হাফসা চাচা ইসমাইল বেপারির স্ত্রী ময়না বেগমের কাছ থেকে তার একমাত্র শিশু সন্তান কুতুবউদ্দিনকে কোলে নেয়। ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে হাফসা কুতুবউদ্দিনকে নিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত অটো যোগে তার বাবার বাড়ি চলে আসেন। সেখানে কুতুবউদ্দিনকে মেরে মাটির নিচে পুঁতে রাখেন।
এ ঘটনায় ওই দিন বিকালেই কুতুবউদ্দিনের বাবা ইসমাইল বেপারী বাদি হয়ে শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্য মতে শিবচর থানা পুলিশ বহস্পতিবার বিকালে নার্গিস ও তার মেয়ে হাফসাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
তাদের দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে কুতুবউদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত কুতুবউদ্দিনের চাচা মুছা বেপারী বলেন, ‘আমার ভাই (আবুল হোসেন) মারা যাওয়ার পরে আমরা আমার মরহুম ভাইয়ের বউ, বাচ্চাদের খোঁজ খবর নিই। টাকা পয়সাও দেই। কিন্তু আমার ভাবী ও ভাইয়ের মেয়ে আমার ভাতিজাকে খুন করেছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে উপযুক্ত বিচার চাই।’
শিবচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমির হোসেন সেরনিয়াবাদ জানান, ‘ঘটনার পরে শিশুটির বাবা আমাদের জানালে আমি শিশুটিকে উদ্ধার করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই। আমরা দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে শরীয়তপুরের নাওডোবা এলাকার একটি টয়লেটের নিচে মাটির নিচে পুঁতে রাখা শিশুর মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন ছিল।
সান নিউজ/এনএএম
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            