নিজস্ব প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় প্রবাসী স্বামী প্রবাসী হাবিবুর রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে মনোমালিন্যে পরকীয়া প্রেমিকা জেসমিন আক্তার ওরফে আয়নাকে (৩৮) গলাকেটে হত্যার কথা স্বীকার করেছে প্রেমিক মামুন হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হয়। এর আগে চুয়াডাঙ্গায় প্রবাসীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার ওরফে আয়না হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি মামুন হোসেন (২৭) ও তার সহযোগী মো. রাব্বিকে (১৫) আটক করেছে পুলিশ। একই সাথে ঘটনার প্রথম দিনই হত্যার রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে।
এদিকে হত্যার ঘটনায় বুধবার রাতে নিহতের বড় ভাই আব্দুর রউফ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক জানান, নিহত জেসমিন আক্তার ওরফে আয়নার সাথে দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল প্রতিবেশী উথান হোসেনের ছেলে মামুন হোসেনের। দু’এক দিনের মধ্যেই পরকীয়া প্রেমিকা জেসমিনের স্বামী দেশে আসবে এমন খবরে জেসমিনকে বিয়ে করতে মরিয়া হয়ে হঠেন মামুন। কিন্তু জেসমিন তাতে রাজি না হওয়ায় মামুন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে আয়নাকে প্রথমে কিশোর ভাগ্নে রাব্বিকে দিয়ে কৌশলে চেতনানাশক পান করানো হয়। পরে গভীর রাতে তার ঘরে ঢুকে হত্যা করে পালিয়ে যান মামুন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম জানান, আয়না হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বেশ কিছু আলামতও জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি, চেতনানাশক ওষুধ মেশানো পানির গ্লাস, রক্তমাখা কাপড়, মোবাইল ফোন, ঘাতকের স্যান্ডেল ও লুঙ্গি জব্দ করা হয়েছে।
সান নিউজ/এনকে/এমকেএইচ