নিজস্ব প্রতিনিধি: জামালপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী মোহাম্মদ হারুনকে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদকে খালাস দেয়া হয়েছে।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জুলফিকার আলী খান এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হারুন সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের করগ্রাম পশ্চিমপাড়া গ্রামের ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে।
মামলায় খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- ওই গৃহবধূর শ্বশুর ওয়াদুদ মিয়া, শাশুড়ি রাজিয়া বেগম ও ননদ রিজু বেগম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া পলাতক আসামি হারুন কাতারে চাকরিতে যাওয়ার আগে জামালপুর সদরের রঘুনাথপুর দিঘুলী গ্রামের মো. খলিলুর রহমানের মেয়ে মাহমুদা বেগমকে (২৫) বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই কাতারে যাওয়ার টাকার জন্য হারুন তার স্ত্রী মাহমুদাকে চাপ প্রয়োগ ও নির্যাতন করে আসছিলেন।
একপর্যায়ে মাহমুদার বাবা খলিলুর রহমান ধার দেনা করে আড়াই লাখ টাকা দেন জামাতা হারুনকে। টাকা পেয়ে কাতার চলে যান তিনি। চার বছর পর কাতার থেকে ফিরে সেই টাকা পরিশোধ না করায় বিপাকে পড়েন গৃহবধূ মাহমুদার বাবা। সেই টাকার জন্য চাপ দিলে হারুন তার স্ত্রীকে মাঝে মধ্যেই নির্যাতন করেন এবং এ নিয়ে পারিবারিক কলহ বাড়তে থাকে।
ধারাবাহিক নির্যাতনের একপর্যায়ে ২০১২ সালের ২৫ জুলাই সকালে হারুন নিজ বাড়িতে তার স্ত্রী মাহমুদাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে ঘটনার দিনই মাহমুদার স্বামী হারুনকে প্রধান আসামি করে শ্বশুর ওয়াদুদ মিয়া, শাশুড়ি রিজিয়া বেগম ও ননদ রিজু বেগমকে আসামি করে সরিষাবাড়ি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি নির্মল কান্তি ভদ্র এবং আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আমান উল্লাহ আকাশ ও মোজাম্মেল হক।
সান নিউজ/এসজে/এসএস