মাসুম লুমেন, গাইবান্ধা : গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের মোল্লাবাজার সংলগ্ন ভেড়ামারা ব্রিজের রেললাইনের পাশে নদীর ওপর ভাঙা সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ১৭ ইউনিয়নের প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
এলাকাবাসী জানান, ভাঙা সেতুটির কারণে বেশি দুর্ভোগের শিকার হন শিক্ষার্থী, কৃষক এবং রোগীরা। সেতুটি ২০১৪ সালে সাবেক চেয়ারম্যান কাজী ইব্রাহীম খলীল উলফাত এবং এলাকাবাসীর উদ্যোগে নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এই বাঁশ-কাঠের সেতুটি দুর্বল হয়ে চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পরেছে।
২০১৯ সালের বন্যায় বড় অংশ ধসে পড়ে। বন্যার পর ধসে পড়া অংশ সংস্কারের কোন নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। কিছুদিন পর সাঁকোটির একটি অংশ পুরোপুরি ভেঙে পড়ে।
জানা গেছে, সদর উপজেলা ছাড়াও সাদুল্যাপুর এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৭ ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের ১৫ লাখ মানুষ ঝুঁকি নিয়েই সেতুটি দিয়ে মালামাল, খাদ্যসামগ্রী ও কৃষিপণ্য পারাপার করেন। অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, রিকশা ও ভ্যানসহ তিন শতাধিক যান প্রতিদিন সেতুটি দিয়ে চলাচল করতো। বর্তমানে সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে ভেড়ামারা রেললাইন ব্রিজ দিয়ে চলালল করছে মানুষ ও যানবাহন।
মোল্লা বাজারের শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি ব্যবহার করা ছাড়া আমাদের কোনও বিকল্পও নেই।’
গাইবান্ধা সরকারি কলেজের ছাত্র শাহিন মিয়া বলেন, ‘সেতুটির জন্য হাজার হাজার মানুষ বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নতুন সেতু করার উদ্যোগ নিচ্ছে না। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছি।
স্থানীয় খোলাহাটি ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ছামাদ আজাদ জানান, সেতুর দুই পাশে প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, বাজার এবং শতাধিক গ্রাম। এ সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছে। তাছাড়া গ্রামের মানুষ অসুস্থ হলে মারাত্মক সমস্যায় পরতে হয়। এলাকাবাসীর দ্রুতই এই দুর্ভোগের অবসান চায়।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ মোল্লা জানান, সেতুটি নির্মাণের জন্য প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকার প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগ দ্রুত সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। খুব শীঘ্রই সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সান নিউজ/কেটি