নিজস্ব প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা : ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি ও খোলাবাজারে টিসিবি কর্তৃক ২০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করায় গত দু সপ্তাহের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গা জেলার বাজারগুলিতে দেশি পেঁয়াজের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে ৫০ টাকার পেঁয়াজ এখন ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে কৃষকরা। এ কারণে এ বছর কৃষকদের লাভের বদলে পেঁয়াজ আবাদে বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার লোকসান হচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম আরো কমে যাওয়ার আশঙ্কায় জমি থেকে আগাম পেঁয়াজ তুলে লোকসানের মুখে পড়ছে কৃষকরা। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত ২ হাজার টাকা দরে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করলেও বর্তমানে কৃষকরা ২ হাজার টাকার পেঁয়াজ বিক্রি করছে মাত্র ৮০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা দরে।
কৃষকদের এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করতে খরচ হয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা। আর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৬ হাজার টাকায়। এ হিসাবে কৃষকদের প্রতি বিঘায় ১৪ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাদের দাবি, কৃষক বাঁচাতে উৎপাদন মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করা হোক তা’না হলে আগামীতে চাষীরা পেঁয়াজ চাষ করবে না।
চুয়াডাঙ্গার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা জানান, বিদেশি পেঁয়াজ আমদানি হলে ও স্থানীয় কৃষকদের পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ার আশঙ্কায় কৃষকরা তাদের জমির পেঁয়াজ অগ্রিম তুলে বিক্রি করায় তারা মূল্য কম পাচ্ছে।
গত বছর চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট ১০ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করে প্রায় ১৯ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষমাত্রা অর্জন হয়। এবছর গত বছরের তুলনায় আরো ৫শ'৫০ হেক্টর জমিতে অতিরিক্ত পেঁয়াজের আবাদের ফলে এবার অতিরিক্ত ৮ হাজার মেট্রিক টনসহ মোট ২৭ হাজার ৯শ' মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জনের টার্গেট নিয়েছে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
সান নিউজ/এসকে/এস