নিজস্ব প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম : নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পানি প্রবাহের উৎস খালগুলো ভরাট করে অবৈধভাবে স্থাপনা ও বাসা-বাড়ি নির্মাণকারী দখলদাররা গণশত্রু। এরা চট্টগ্রাম নগরীকে একটি মানবিক নগর গড়ার স্বপ্ন পূরণে প্রধান প্রতিবন্ধক।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে নিমতলা ৩৬ নং গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডস্থ মহেশখালের দিয়ার পাড়া এলাকায় খাল পরিস্কার করতে গিয়ে খালের বেহাল ও দৃশ্যমান বিলুপ্ত প্রায় চিত্র দেখে তিনি এ সব কথা বলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।
তিনি বলেন, এদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ ও আইনের কঠোর প্রয়োগ ছাড়া বিকল্প কোনও পথ নেই। তাই প্রধানমন্ত্রী নির্দেশেই আমরা বিলুপ্ত খালুগলো উদ্ধারে মাঠে নেমেছি। চসিক প্রশাসক বলেন, মহেশখালের এই শাখা খালটি এক সময় বেশ বড় ছিল। এই খালের বুকে কর্ণফুলী থেকে নৌযানসহ পণ্য ও যাত্রী পরিবহন চলাচল করতো।
নগরীতে এ ধরনের দুই ডজনেরও বেশি প্রশস্থ ও গভীর শাখা খাল ছিলো। এখন সবগুলোই বিলুপ্ত ও বেদখল হয়ে গেছে। এ কারণেই জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে না। বর্তমানে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে জলাবদ্ধতা নিরসনের মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৪০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এই মেগা প্রকল্পের শতভাগ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে খালসহ পানি চলাচলের সবগুলো পথ পরিস্কার ও বাধামুক্ত করার অংশ হিসেবে দিয়ার পাড়া এলাকায় আজকের এই অভিযান। আমি এই খালটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে চাই। এই খালটিকে যারা ডাস্টবিনে পরিণত করেছে তাদেরকে আগামী সোমবার পর্যন্ত সময় দেয়া হলো।
এই সময়ের মধ্যে আবর্জনা পরিস্কার ও খালের উপর থেকে অবৈধ স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে না নিলে পরদিন থেকে সরাসরি এ্যাকশন শুরু হবে। এই সময় খাল পরিস্কার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যে খরচ হবে তা অভিযুক্তদের কাছ থেকে আদায়, জরিমানা, মালামাল জব্দসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ ইলিয়াছ, কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ মোরশেদ আলী, ইমরান আহাম্মেদ ইমু, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, হাসান মোহাম্মদ মুরাদ, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, প্রণব শর্মা,আলী আকবর।
সান নিউজ/এসএ