দেশি-বিদেশি নানান জাতের ফল নিয়ে কিশোরগঞ্জের একরামপুরে খামারবাড়িতে শুরু হয়েছে মৌসুমি ফলের মেলা।
বুধবার (২৫ জুন) সকালে এ ফলমেলার উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কিশোরগঞ্জ কৃষি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে শুরু হয়েছে এ মেলা, যা শুক্রবারে শেষ হবে। মেলায় অংশ নিয়েছে ৮টি স্টল।
বিভিন্ন জাতের আমসহ, কাঁঠাল, কলা, আনারস, কাঠলিচু, কদবেল, জাম, চালতা, ডেউয়া, ডেফল, করমচা, তৈকর, চেরি, সফেদা, আনার, বিলিম্বি, কাঠবাদাম, আমড়া, ডুমুর, বেল, কামরাঙ্গা, পেয়ারা, ড্রাগন, তাল, নারিকেল, গাব, পেঁপে, জামরুল, লটকন, অরবরই, আমলকি, দেশি মাল্টা, জাম্বুরা, ডালিম ও নানান ফল ওঠেছে মেলায়।
'দেশি ফল বেশি খাই- আসুন ফলের গাছ লাগাই' এই স্লোগানে বুধবার সকাল দশটায় মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান। এরপর তিনি মেলার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইমরানুল ইসলাম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সাদিকুর রহমান, কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসক বলেন, 'শুধু গ্রীষ্ম-বর্ষা নয়, সারা বছরই আমাদের দেশে ফল উৎপাদন হয়। অযত্ন অবহেলায় দেশি অনেক জাতের ফল হারিয়ে যেতে বসেছে। দেশি ফলের দিকে নজর দিতে হবে। তাই বিভিন্ন ঋতুতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এরকম মেলার আয়োজন করতে পারে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা থাকবে।'
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাদিকুর রহমান বলেন, 'জেলাবাসীর কাছে দেশি ও নতুন জাতের মৌসুমি ফল পরিচিত করিয়ে দিতেই এ মেলার আয়োজন।'
উদ্বোধনের পর শহরের খামার বাড়ির এই ফলমেলায় দর্শনার্থীদের ভিড় লেগে যায়।
সদর উপজেলার সমাজকর্মী আকবর খন্দকার তার ১০-১২ বছরের সন্তানকে নিয়ে এসেছিলেন মেলায়।
তিনি বলেন, ‘এ মেলার মাধ্যমে আমাদের ফলভান্ডার সম্পর্কে জানা যায়। দেশি জাতের বিভিন্ন ফল চেনানোর জন্য আমার ছেলেকে এখানে নিয়ে এসেছি। মেলা প্রাঙ্গণে দেশি ফলের চারার একটি স্টলও আছে। মেলা ঘোরা শেষে কয়েকটি দেশি ফলের চারা বাড়িতে নিয়ে যাব।
সাননিউজ/ইউকে