সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক: পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হলো 'বাংলা কবিতার আবহমান ধারায় কবি জসীম উদ্দীন' শীর্ষক সেমিনার।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের আয়োজনে শনিবার (৩০ জানুয়ারি) কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন।
আয়োজনের শুরুতেই মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি ড. বিমল গুহ। অনলাইনে যুক্ত থেকে প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
প্রবন্ধে ড. বিমল গুহ বলেন, বাংলার কবি জসীম উদ্দীন বাঙালির কাছে স্মরণীয় হয়ে আছেন। তিনি শুধু কবিতায় লোকজ উপকরণ ব্যবহারের জন্য নয়, স্মরণীয় হয়ে আছেন লোকমানসের ভাব-ভাষা-কল্পনাপ্রবণতা ও মেজাজকে কবিতায় তুলে ধরেছিলেন বলে। তিনি বাঙালির লোকজীবনকে পরিমার্জিতরূপে আধুনিক সাহিত্যের উপজীব্য করেছিলেন।
অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পল্লীকবি জসীম উদ্দীন বলে নামকরণ করলেও তিনি মূলত প্রকৃতির কবি।তিনি তার কবিতায় স্বতন্ত্র ভাবধারা সার্থকভাবে সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন। গভীরভাবে কবি জসীম উদ্দীনকে পাঠ করতে হবে।
মো. বদরুল আরেফীন বলেন, কবিমানসে লোকায়ত-জীবন প্রসঙ্গই ছিলো জসীমউদ্দীনের কবিতার মূল উপাদান। লোকজ বিষয় ব্যবহারে জসীম উদ্দীন যে সফলতা লাভ করেছেন অন্য কারো তেমনিভাবে তা সম্ভব হয়নি।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, কবি জসীম উদ্দীন ছিলেন প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী। সেই সাথে তিনি ছিলেন সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার একজন দৃঢ় সমর্থক। তার সৃষ্টি 'নকশী কাঁথার মাঠ' ও 'সোজন বাদিয়ার ঘাট' বাংলা ভাষার গীতিময়ী কবিতার উৎকৃষ্টতম নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম। লোকজীবনের প্রতি ছিল তার অসীম দরদ ও মমত্ববোধ। যার কারণে তার রচনা আধুনিক যুগেও সকলের কাছে গ্রহণীয় হয়েছিলো।
অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, পল্লীপ্রেম, দেশপ্রেম ছিল জসীম উদ্দীনের কাব্যের মূল ভিত। তিনি লোকসাহিত্যের ঐতিহ্যকে যুগের মর্জিমাফিক প্রয়োগ করতে পেরেছিলেন আধুনিক সাহিত্যে।
সান নিউজ/এসএস