সান নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের চিনির বাজার হঠাৎ অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। সংকটের কথা বলে সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন : রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, চাহিদা অনুযায়ী দেশে পর্যাপ্ত চিনি আমদানি হয়েছে, সংকট হওয়ার কোনো কারণ নেই।
রোববার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে চিনি সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই।
শিগগিরই আরও ১ লাখ টন চিনি আমদানি করা হচ্ছে। একটু তদারকি করলে চিনির বাজার স্বাভাবিক হবে বলে আমরা আশাবাদী।
আরও পড়ুন : শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে ১৭ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি করা হয়েছিল। চলতি ২০২২ সালের প্রথম নয় মাসে এরইমধ্যে সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি সম্পন্ন হয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে বছরে চিনির চাহিদা ১৮ থেকে ২০ লাখ টন। যার সিংহভাই আমদানি করতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জি এম আবুল কালাম আজাদ এ বিষয়ে বলেন, সম্প্রতি দেশের বাজারে চিনির দাম বেড়েছে। সংকটের কারণে এ দাম বেড়েছে এমন কথা বলা হচ্ছে। এ তথ্য সঠিক নয়।
আরও পড়ুন : ইলিশ ধরার অপরাধে ৪১ জেলে আটক
২০২১ সালে দেশে ১৭ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি হয়েছিল। চলতি ২০২২ সালে এখন পর্যন্ত সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি হয়েছে। শিগগিরই আরো এক লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি হবে।
তাই দেশে পর্যাপ্ত চিনি আমদানি হয়েছে। যদি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো একটু বিশেষ তদারকি করে তাহলে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব, বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সংকটের কথা বলে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে খোলা চিনির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আর প্যাকেটজাত চিনি অনেক এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন : বেড়েছে মোটা চালের দাম
ক্রেতারা বলছেন, জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসায়ীরা খেলায় মেতেছেন। তারা সরকারের কোনো নিয়ম-নীতি মানছেন না। নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন।
আর ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটের কারণে চিনির উৎপাদন কমেছে। যে কারণে বাজারে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, রাজধানীর বেশির ভাগ দোকানে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজিতে। এক সপ্তাহ কিংবা তিনদিন আগের কেনা চিনি কিছু কিছু দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজিতে।
আরও পড়ুন : চা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড
তবে এ সময় বাজার ও দোকানগুলোতে প্যাকেটজাত চিনির দেখাই মেলেনি। এই দোকানগুলোতে এক সপ্তাহ আগেও চিনি বিক্রি হয়েছে ৯০-৯৫ টাকা কেজিতে। আর প্যাকেটজাত চিনি ছিল ৯৫ টাকা কেজি।
প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খোলা চিনি ৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ৯৫ টাকায় বিক্রির জন্য নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু তা বাস্তবে কার্যকর হয়নি। বরং এখন উল্টো দাম বাড়ছে।
সরকারি তথ্য মতে, দেশে চিনির মোট চাহিদার বড় একটি অংশ মেটানো হয় আমদানি করা চিনির মাধ্যমে। এই চিনি আমদানি হয় মূলত সিটি, মেঘনা, এস আলম, ইগলু ও দেশবন্ধু গ্রুপের হাত ধরে।
সান নিউজ/এইচএন