বাণিজ্য

পদ্মা ব্যাংককে বাঁচিয়ে রাখতে আবারও বিশেষ ছাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক: পদ্মা ব্যাংককে (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) এবার আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য গোপন রাখার সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদনে থাকবে না কোন লোকসানের তথ্য। বিদেশি বিনিয়োগ আনতে ব্যাংকটিকে এ সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাঁচিয়ে রাখতে আবারও এই বিশেষ ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংকের এক বিশেষ বৈঠকে এই ছাড় দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ব্যাংকটি বন্ধের সম্মুখীন হলে সরকারি খাতের ব্যাংকগুলো মূলধন জোগান দেয়। পরে ব্যাংকটি ফারমার্স থেকে নাম বদলে পদ্মা ব্যাংক নামকরণ করে। পাশাপাশি ব্যাংকটিকে বেশ কিছু নীতি ছাড় দেওয়া হয়। নগদ অংশ সংরক্ষণ বা সিআরআর (ক্যাশ রিজার্ভ রিকোয়ারমেন্ট) ও বিধিবদ্ধ জমা বা এসএলআরের (স্ট্যাটিউটরি লিকুইডিটি রেশিও) অর্থ জমা রাখার বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। মওকুফ করা হয় দ-সুদ ও জরিমানা। এখন নতুন করে আর্থিক প্রতিবেদনে তথ্য গোপন রাখার সুযোগ দিয়েছে।

জানা গেছে, বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ডেলমর্গান অ্যান্ড কোম্পানি পদ্মা ব্যাংকে ৭০ কোটি ডলার (বর্তমান বাজার মূল্যে) ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছে। এর অর্ধেক বিনিয়োগ হবে মূলধন হিসেবে। বাকি অর্ধেক হবে বন্ড বা অন্য উপায়ে। এ বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকটির বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন স্বচ্ছ দেখাতে চায় পদ্মা ব্যাংক।

এ জন্য ৯০০ কোটি টাকার বেশি লোকসানে থাকা পদ্মা ব্যাংকের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনে এ লোকসান দেখাতে হবে না। লোকসানের বিপরীতে ‘ইনটেনজিবল অ্যাসেট বা অদৃশ্য সম্পদ’ সৃষ্টি করা হবে। আগামী ১০ বছরের মুনাফা থেকে যা সমন্বয় করতে হবে। এ ছাড়া লোকসান সমন্বয়ের সময়সীমা পর্যন্ত ১০ বছর ব্যাংকটি শেয়ারধারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারবে না। তবে বিদেশি বিনিয়োগ না এলে এ সুবিধা বাতিল হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, পদ্মা ব্যাংক বিদেশি বিনিয়োগ আনার কথা বলেছে। বিনিয়োগ আনার স্বার্থে শর্ত সাপেক্ষে ব্যাংকটির লোকসান সমন্বয়ে ১০ বছর সময় দেওয়া হয়েছে। বিনিয়োগ না এলে এ সুবিধা বাতিল হবে।

শুরুতে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। তাঁর মেয়াদেই নতুন ব্যাংকটি নানা ধরনের ঋণ জালিয়াতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে ধ্বংসের মুখে পড়ে। পরে সরকারের নির্দেশে সরকারি ব্যাংকগুলো ওই ব্যাংকে মূলধন জোগান দেয়। এরপর ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন সরকারঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।

ফারমার্স ব্যাংক নাম থাকাকালে ঋণ বিতরণে নানা অনিয়মের কারণে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ব্যাংকটির ঋণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে ব্যাংকটির মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন ঘটে। সরকারের উদ্যোগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যস্থতায় সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) মিলে ৭১৫ কোটি টাকার মূলধনের জোগান দেয়। ফলে ব্যাংকটির মোট মূলধনের ৬৬ শতাংশই সরকারি ব্যাংকের হাতে।

সান নিউজ/এনএএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

দেব–শুভশ্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়

দীর্ঘ বিরতির পর সাবেক প্রেমিক জুটি দেব ও শুভশ্রী পর্দায়। কৌশিক গাঙ্গুলীর &lsq...

নির্বাচনের রোডম্যাপ আগামী সপ্তাহে, আশা ইসির

আগামী সপ্তাহে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণা করতে পারব...

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক কাল

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে আলোচনা করতে আগামীকাল শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ব...

দুই দিনের ব্যবধানে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের দুই মন্ত্রী

মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের দুই মন্ত্রী। পাকিস্তানের বাণ...

তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপরে, ৫ উপজেলার বহু মানুষ পানিবন্দি

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা