নিজস্ব প্রতিবেদক: বেসরকারি খাতে ২০২১-২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ ও সরকারি খাতে ৩৬ দশমিক ৬০ শতাংশ ঋণ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে এটি প্রকাশ করা হয়। এর সংক্ষিপ্তসার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আকারেও প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবছর সংবাদ সম্মেলন করে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হলেও করোনার কারণে গত বছর থেকে অনলাইনে তা প্রকাশ করা হচ্ছে।
গত এক বছরে মে পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ যত হয়েছে, আগামী এক বছরে তার দ্বিগুণ লক্ষ্যমাত্রা ধরে এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হলো।
২০২০ থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্তও একই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা ছিলো। তবে করোনার বছরে গত মে পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে এর অর্ধেকের মতো, ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের সমান রাখার পরেও অর্জিত প্রবৃদ্ধির তুলনায় লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ করার পর এই মুদ্রানীতিতে ‘সম্প্রসারণমূলক’ বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক অর্থবছরে দুটি মুদ্রানীতি (জুলাই-ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি-জুন) ঘোষণা করে আসছিলো। ‘বিশেষ তাৎপর্য’ নেই বলে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে একটি মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হচ্ছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক লিখিত বক্তব্যে গভর্নর ফজলে কবির বলেন, চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে সরেজমিনে নিরীক্ষা কার্যক্রম অনেকটা শিথিল থাকায় প্রণোদনা প্যাকেজের অপব্যবহার নিয়ে ইতোমধ্যে দেশের গণমাধ্যম ও বিভিন্ন মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তবে প্রযুক্তিনির্ভর অফ-সাইট নিরীক্ষা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। সরেজমিনে নিরীক্ষা কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি প্রণোদনার প্রভাব নিয়ে বিশেষ সমীক্ষা পরিচালনার বিষয়টিও বাংলাদেশ ব্যাংকের সক্রিয় বিবেচনায় আছে। এ ছাড়া আর্থিক খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং বিদেশে অর্থ পাচার রোধকল্পে বিএফআইইউয়ের মাধ্যমে আর্থিক গোয়েন্দা কার্যক্রম বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
সান নিউজ/এফএআর