তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে ডিজিটাল কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (ডিসিও) আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্যপদ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ক্রোম থেকে চ্যাটবট ব্যবহার করার নিয়ম
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) আইসিটি বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ডিসিও সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার সনদে সই করেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ডিজিটাল কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনে প্রায় ১৫টি দেশের ৮০০ মিলিয়ন জনগোষ্ঠীর বিশাল একটা মার্কেট রয়েছে। বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ডিসিওর সদস্য হলো। ডিসিওর সদস্য হতে পেরে আমাদের ৪ টি সুযোগ তৈরি হলো।
আরও পড়ুন: বিং এআই কীভাবে ব্যবহার করবেন
১ম টি বাংলাদেশের ডিজিটাল অন্টারপ্রেনিয়র স্টার্টআপদের ব্যবসা করার সুযোগ হবে। ২য় টি বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার সুযোগ তৈরি হবে। ৩য় টি ১৫টি দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সাইবার সিকিউরিটিতে আরও বেশি শক্তিশালী জায়গায় যেতে পারবে। ৪র্থ স্টার্টআপ পাসপোর্ট নিয়ে কাজ হচ্ছে। অর্থাৎ একটি দেশের স্টার্টআপরা ১৫টি দেশে কাজ করতে পারবে।
তিনি আরও জানান, এ ৪ টি এরিয়াতেই মূলত ডিসিও সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্যপদ গ্রহণ করেছি ও সেই সনদে সাক্ষর করেছি। বাংলাদেশ এখন ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্টের জায়গায় অত্যন্ত আকর্ষণীয় গন্তব্য পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাওমি রেডমি স্মার্টফোনে আকর্ষণীয় ছাড়
পলক আরও জানায়, ডিসিও মেম্বারশিপের ফলে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে যে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্পটি পেয়েছি। সেখানে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তোলা হবে। ২০৪১ সালের সেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই ডিসিওর মেম্বার হওয়ার ফলে আমরা আমাদের লক্ষ্যটা অর্জনে আরও বেশি এগিয়ে যেতে পারবো।
এসময় ডিজিটাল কো-অপারেশন অর্গানাইজেনের সেক্রেটারি জেনারেল মিসেস দীমা আল ইয়াহিয়া ও বাংলাদেশ এক্সেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) পলিসি অ্যাডভাইজর আনির চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সান নিউজ/এএ