আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দীর্ঘক্ষণ ধরে অনলাইনে পাবজি গেম খেলতো ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর। এই গেমের কারণে পুরো পরিবারকে গুলি করে হত্যা করেছে সে। এর আগে নাহিদ তার পরিবারের সুরক্ষার জন্য লাইসেন্স করা পিস্তল কিনেছিল।
পাক সংবাদমাধ্যম ডন শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) জানিয়েছে, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ঘটেছে এই ঘটনা। লাহোরের কানহা এলাকায় গত সপ্তাহে স্বাস্থ্যকর্মী নাহিদ মুবারক (৪৫), তার ছেলে তৈমুর (২২), দুই কন্যা বয়স ১৭ ও ১১ বছর এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের পর ওই পরিবারে একমাত্র জীবিত ছিলো নাহিদ মুবারাকের ১৪ বছর বয়সী কিশোর ছেলে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন নিয়ে সুর বদল করলো রাশিয়া
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাবজি আসক্ত কিশোর এই গেমের কারণে তার মা, ভাইবোনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। অনলাইনে দীর্ঘ সময় ধরে গেম খেলার কারণে ওই কিশোরের কিছু মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নাহিদ ডিভোর্সি নারী। পড়াশুনায় মনযোগ না দেওয়ায় ও পাবজি বেশি খেলায় প্রায় ছেলেকে বকাঝকা করতেন। ঘটনার দিন নাহিদ ছেলেকে বকাঝকা দেয়। এর পর ওই কিশোর মায়ের আলমারি থেকে পিস্তল বের করে এনে তার মাকে এবং তিন ভাইবোনকে ঘুমের মধ্যে গুলি করে হত্যা করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পরের দিন সকালে ওই কিশোর অ্যালার্ম বাজায়। এরপর প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ আসলে ওই কিশোর বলে সে বাড়ির উপরতলায় ছিল এবং তার পরিবারকে যে হত্যা করা হয়েছে সে সম্পর্কে কিছু জানে না।
সান নিউজ/এমকেএইচ